বেরোতে না পেরে পুড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

ঘরে ছিলেন একা। পক্ষাঘাতগ্রস্ত। পাশের ঘরগুলিতে তখন আগুন লেগেছে। চার দিকে ধোঁয়া। শোনা যাচ্ছে লোকজনের চিৎকার। প্রতিবেশীরা সকলে আগুন থেকে বাঁচলেও তিনি বিছানা ছেড়ে উঠতে পারলেন না। মারা গেলেন অগ্নিদগ্ধ হয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০৬
Share:

ঘরে ছিলেন একা। পক্ষাঘাতগ্রস্ত। পাশের ঘরগুলিতে তখন আগুন লেগেছে। চার দিকে ধোঁয়া। শোনা যাচ্ছে লোকজনের চিৎকার। প্রতিবেশীরা সকলে আগুন থেকে বাঁচলেও তিনি বিছানা ছেড়ে উঠতে পারলেন না। মারা গেলেন অগ্নিদগ্ধ হয়ে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, কৈখালির মণ্ডলগাঁতি এলাকায় শুক্রবার মাটির ভাঁড় তৈরির এক কারখানার পাশে ছ’-সাতটি ঝুপড়িতে আগুন লাগে। পালাতে না পেরে পুড়ে মৃত্যু হয় নির্মল মণ্ডল (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের। আগুন কী ভাবে লেগেছিল, তা জানা না গেলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কেউ তা লাগিয়েছে। আগুনে তিন জন জখমও হয়েছেন।

এলাকা সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দীনবন্ধু মণ্ডল নামে এক জনের ঘরে আগুন লাগে। আগুন ছড়ায় পাশের ঘরগুলিতেও। বাসিন্দারা নিজেরাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

দমকল সূত্রের খবর, ওই ঝুপড়িগুলি থেকে সকলেই বেরিয়ে যেতে পেরেছিলেন। পারেননি শুধু নির্মলবাবু। আগুনে একটি বড় ও চার-পাঁচটি ছোট গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়। ওই বাড়ির পিছনের সারির একটি ঘরে ছিলেন নির্মলবাবু। তাঁকে বার করা যায়নি। তাঁর ঘর পুরোপুরি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরে দমকলকর্মীরা নির্মলবাবুকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাঁর স্ত্রী সুমতি মণ্ডলও সে সময়ে বাইরে ছিলেন।

একটি ঘরে আটকে পড়া দুই কিশোরীকে গ্রিল ভেঙে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, দমকলের ডিজি জগমোহন প্রমুখ। মন্ত্রী জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement