আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
সইয়ের গেরোয় সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই করাতে না পেরে বৃহস্পতিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর পরিজনদের একাংশ। সুপারের ঘরের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হল। গোটা ঘটনাকে অবশ্য ‘বিভ্রান্তির জের’ বলে দাবি করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আর জি করের ট্রমা বিল্ডিং, জরুরি বিভাগে একটি বেসরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে সিটি স্ক্যান ও এমআরআই-এর ব্যবস্থা রয়েছে। রোগীরা নিখরচায় সেই পরিষেবা পান। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, এ দিন সকাল থেকে অনেক রোগীকেই কাগজের সই যথাযথ নয় বলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তাঁদের সুপার বা ডেপুটি সুপারের অনুমোদন জোগাড় করতে বলা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অনুমোদন পাওয়ার আশায় সুপারের ঘরের বাইরে রোগীদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। সুভাষ পট্টনায়ক নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘বিকেলে সুপারের ঘরে যাওয়ার রাস্তা রক্ষীরা আটকে দেন। আমাদের বলা হয়, আর সই হবে না।’’ এর পরেই গন্ডগোলের সূত্রপাত।
রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘‘আগে বলা হয়েছিল, রোগী যে কাগজ নিয়ে সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করাতে আসবেন, তাতে আরএমও-র স্ট্যাম্প থাকলে চলবে। পিজিটি সেই স্ট্যাম্পের পাশে সই করলেও চলবে। সে ভাবে কাজ করলেও বিল আটকে দেওয়া হয়।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া কিছু নয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এমআরআই বা সিটি স্ক্যানের প্রেসক্রিপশনে স্ট্যাম্প ও সই থাকার কথা। রোগীরা তাড়াহুড়ো করায় ওই পরিস্থিতি তৈরি হয়। হাসপাতালে আরও যন্ত্র বসানোর জন্য স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সুষ্ঠু উপায়ে কী ভাবে সমস্যা মেটানো যায়, তা দেখছি।’’ প্রিন্সিপাল শুদ্ধোদন বটব্যাল বলেন, ‘‘বিষয়টি মিটে গিয়েছে। ধৈর্য না ধরলে এত বিপুল সংখ্যক রোগীকে যে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়, তা পরিজনদেরও বুঝতে হবে।’’