বিল্ডিং বিভাগের সুপারিশ দেখে বালিখালে একটি বহুতলের ছাদ থেকে মোবাইল ফোনের টাওয়ার সরিয়ে দিয়েছিলেন হাওড়া পুর-কর্তৃপক্ষ। প্রতিকার চেয়ে মোবাইল ফোন সংস্থা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখে। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে দেখে টাওয়ার পুনরায় বসাতে অনুমতিও দেন পুর-কর্তৃপক্ষ। সেই অনুমতি চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, পুর-কর্তৃপক্ষ ওই অনুমতি দিতে পারেন না। কোনও সিদ্ধান্ত একবার গ্রহণের পরে তাকে প্রত্যাহার করতে হবে আইন মাফিক।
হাইকোর্টের আইনজীবী অমলবরণ চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর মক্কেল, বালিখালের বাসিন্দা সনৎ ঘোষালের বাড়ির কয়েক মিটারের মধ্যে ৭ নম্বর জি টি রোডে চার তলা একটি ফ্ল্যাটের ছাদে বেসরকারি একটি টেলিফোন সংস্থার মোবাইল টাওয়ার ছিল। টাওয়ার ভেঙে পড়ে আশপাশের বাসিন্দাদের বিপদ হতে পারে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে গত বছর মামলা দায়ের করেন তিনি। হাইকোর্টের বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী গত বছর ১৪ অগস্ট হাওড়া পুর-কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, অভিযোগ খতিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।
অমলবরণবাবু জানান, পুর-কর্তৃপক্ষ দুই ইঞ্জিনিয়ারকে বাড়ির নকশা খতিয়ে দেখে টাওয়ার সরানো নিয়ে তাঁদের মত জানাতে বলেন। ইঞ্জিনিয়ারেরা জানান, ওই ফ্ল্যাটের নকশা যথাযথ নয়। এর পরে টাওয়ার সরানো হয়। সূত্রের খবর, গত মাসে মোবাইল সংস্থাটি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে টাওয়ার ফের বসাতে অনুরোধ করে। বলা হয়, এলাকার মানুষ তাঁদের পরিষেবা পাচ্ছেন না। প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি হাওড়া পুর-কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়। তার ভিত্তিতে ওই টাওয়ার পুনরায় বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়।