আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ধৃত স্ত্রী

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন উত্তম। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ ঝলসে গিয়েছিল। তাঁকে প্রথমে আর জি করে এবং পরে বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রী এবং তাঁর পরিচিত এক যুবকের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম উত্তম নাইয়া (৪৪)। পুলিশ মৃতের স্ত্রী রঞ্জিতাকে গ্রেফতার করলেও অভিযুক্ত যুবক পলাতক। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে রঞ্জিতার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মানিকতলা থানা এলাকার ক্যানাল ইস্ট রোডের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন উত্তম। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ ঝলসে গিয়েছিল। তাঁকে প্রথমে আর জি করে এবং পরে বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পার্ক সার্কাস চার নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সেখানেই মৃত্যু হয় উত্তমের। এর পরেই রঞ্জিতার দাদা এবং উত্তমের দাদা রঞ্জিতা ও ওই যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, উত্তমের সঙ্গে রঞ্জিতার সম্পর্ক ভাল ছিল না। এমনকী আগে এক বার রঞ্জিতা বধূ নির্যাতনের মামলাও রুজু করেছিলেন উত্তমের বিরুদ্ধে। পুলিশ সেই মামলায় উত্তমের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার পরেও কাপড়ের ব্যবসায়ী উত্তম দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ক্যানাল ইস্ট রোডের বাড়িতেই থাকছিলেন।

Advertisement

তদন্তকারীরা জেনেছেন, রঞ্জিতার সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুক্রবার বিকেলে বচসা হয়। তখন বাড়িতে সকলেই ছিলেন। দুই ছেলে এবং রঞ্জিতা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, উত্তম অন্য একটি ঘরে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরান। কিন্তু পড়শিরা পুলিশকে জানিয়েছেন, উত্তম গায়ে আগুন দিলেও বাড়ির বাকিরা তাঁকে বাঁচাতে চেষ্টা করেননি। উত্তমকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়শিরাই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই রঞ্জিতা এবং অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন