অতিথিশালায় নথি পরীক্ষার নামে তোলাবাজি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন কলকাতা পুলিশের এক অফিসার। শুক্রবার রাতে তাঁকে ধরে এন্টালি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম গৌতম ঘোষ। তিনি কলকাতা পুলিশের সিকিওরিটি কন্ট্রোল অফিসে এএসআই পদে কর্মরত। শনিবার শিয়ালদহ আদালতে তাঁর ৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।
লালবাজার সূত্রে খবর, এর আগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এক ইনস্পেকটর-সহ দুই অফিসারকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। কিন্তু কর্মরত অবস্থায় তোলাবাজি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোনও পুলিশ অফিসার গ্রেফতার হয়েছেন, সাম্প্রতিক অতীতে এমন ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না লালবাজারের কর্তারা। এ দিন ধৃতের বিরুদ্ধে দুর্নীতিদমন আইনেও মামলা দায়ের করেছে এন্টালি থানা। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র বলেন, ‘‘ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুলিশ জানায়, কলকাতায় আসা বিদেশি নাগরিকদের নথি পরীক্ষার দায়িত্ব সিকিওরিটি কন্ট্রোলের। সেই সূত্রেই শহরের বিভিন্ন অতিথিশালার রেজিস্টার ও আবাসিকদের নথি পরীক্ষা করেন ওই শাখার কর্মীরা। সেই কাজেই শুক্রবার মৌলালির এক অতিথিশালায় নথি পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন গৌতম। অতিথিশালার মহিলা রিসেপশনিস্টের অভিযোগ, নথি পরীক্ষার সময়ে কিছু নথিতে গাফিলতির কথা জানান গৌতম। তা চাপা দিতে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। মহিলার অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় তাঁর শ্লীলতাহানি করেন গৌতম। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে বলেও দাবি মহিলার।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা রাতেই এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গৌতমের মোবাইল নম্বরও পুলিশকে দেন। এর পরেই পুলিশ গৌতমকে ডেকে এনে গ্রেফতার করে। যদিও পুলিশ সরকারি ভাবে জানায়, শিয়ালদহ আদালতের সামনে গৌতমকে ধরা হয়।
ধৃতের আইনজীবী অসিত রায় এ দিন পাল্টা অভিযোগে বলেন, নথির গোলমাল চাপা দিতে ওই মহিলাই গৌতমকে দু’হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গৌতম রাজি হননি। অসিতবাবুর কথায়, ‘‘নথিপত্র ঠিক না থাকায় গৌতম আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন, তা আঁচ করেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।’’