বৈশাখীর প্রশ্নের মুখে পুলিশ আধিকারিক

গত ১০ জুন কলেজ শিক্ষকদের রেজিস্টারের কয়েকটি পাতা ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগপত্র লিখে পিওন মারফত সেটি বেনিয়াপুকুর থানায় পাঠিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৯ ০২:২০
Share:

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

শিক্ষকদের রেজিস্টারের পাতা ছেঁড়ার ঘটনার তদন্তে গিয়ে সেখানকার অধ্যক্ষার ‘ধমকের’ মুখে পড়ল পুলিশ। সম্প্রতি বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার মিল্লি আল আমিন কলেজে গিয়েছিলেন ওই থানার এক অফিসার। কলেজের অধ্যক্ষা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর সঙ্গে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা রয়েছে।

Advertisement

গত ১০ জুন কলেজ শিক্ষকদের রেজিস্টারের কয়েকটি পাতা ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগপত্র লিখে পিওন মারফত সেটি বেনিয়াপুকুর থানায় পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেটি গ্রহণ না করে কর্তব্যরত এক পুলিশ আধিকারিক পিওনকে জানান, ওসি-কে না দেখিয়ে অভিযোগ নেওয়া হবে না। কলেজ সূত্রের খবর, পরের দিন পিওনকে ফেরানোর বিষয়টিও চিঠি লিখে জানানো হয়েছিল বেনিয়াপুকুর থানার ওসিকে। তার পরে অভিযোগ নেয় ওই থানা।

সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট ওই পুলিশ আধিকারিকই কলেজে গিয়ে বৈশাখীর জেরার মুখে পড়েন। সূত্রের খবর, তদন্তকারী ওই আধিকারিকের কাছে বৈশাখী জানতে চান, কেন প্রথমেই থানা অভিযোগ নেয়নি? কেনই বা তদন্তে এত দেরি?

Advertisement

বৈশাখীর কথায়, ‘‘সে দিন কলেজের প্রতিনিধিকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। বড়বাবুকে না দেখিয়ে অভিযোগ গ্রহণ করা হয় না— এমন কথা শুনে আমি অবাকই হয়েছিলাম। যে আধিকারিক ওই কথাগুলি বলেছিলেন তিনিই কলেজে এসেছিলেন। আমি ওঁকে আমার খারাপ লাগার কথা জানিয়েছি।’’ তিনি জানান, থানা প্রথমে অভিযোগপত্র না নেওয়ায় তিনি পরিচিত এক মন্ত্রী এবং শোভনবাবুকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তাঁদের হস্তক্ষেপেই পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করে।

বেনিয়াপুকুর থানায় যোগাযোগ করা হলে এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এটা অনেক দিন আগের ঘটনা। আগেই থানার এক অফিসার ওই কলেজে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন না।’’ বৈশাখীদেবীর পাল্টা জানান, ওঁরা কলেজে ‘সেমেস্টার ব্রেক’ এর সময়ে তদন্ত করতে এসেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন