Coronavirus

লকডাউনে বাড়তি ফি কেন, বিক্ষোভ স্কুলে স্কুলে

এ দিন দুপুরে প্রায় ২০০ জন অভিভাবক স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় যাদবপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২০ ০২:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি

লকডাউনের জন্য যে ক’মাস স্কুল বন্ধ থাকবে, সেই কয়েক মাসের শুধু টিউশন ফি দেবেন তাঁরা। অন্য কোনও ফি নয়। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। শুক্রবার একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল টালিগঞ্জের ‘অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চ’ স্কুলের সামনে। এর পরে শনিবার একই দাবিতে অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখালেন যাদবপুর থানা এলাকার রানিকুঠি মোড়ের জি ডি বিড়লা স্কুলের সামনে। তাঁদের দাবি, লকডাউনের মধ্যে যে কয়েক মাস স্কুল বন্ধ থাকবে, সেই মাসগুলির জন্য শুধু টিউশন ফি দিতে রাজি আছেন তাঁরা। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় অন্য যে সব পরিষেবা নেওয়া হচ্ছে না, সেগুলির ফি দিতে তাঁরা রাজি নন। তাঁদের প্রশ্ন, বিভিন্ন খাতে স্কুল যে ফি নেয়, সেই সমস্ত কার্যকলাপ তো এখন বন্ধ। তা হলে স্কুল সেই টাকা নেবে কোন যুক্তিতে?

Advertisement

বিক্ষোভে শামিল হওয়া এক অভিভাবক বললেন, ‘‘লকডাউনের মাসগুলির জন্যও এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি ফি নিচ্ছে স্কুল। কিন্তু অনলাইন ক্লাসে আমাদের ছেলেমেয়েরা তো নাচ, গান বা ক্যারাটে— কিছুই শিখছে না। শেখা সম্ভবও নয়। তা হলে ওই সব ফি দেব কেন?’’

এ দিন দুপুরে প্রায় ২০০ জন অভিভাবক স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় যাদবপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, লকডাউন-বিধি অমান্য করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন অভিভাবকেরা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এবং স্কুলশিক্ষা দফতরে চিঠি দিয়েছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিনিধি এ দিন স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না। পরে অবশ্য অভিভাবকেরা ফিরে যান।

Advertisement

অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাঁরা তাঁদের দাবির তালিকার একটি প্রতিলিপি যাদবপুর থানাতেও জমা দিয়েছেন। এ দিনের বিক্ষোভ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে সব স্কুলই বন্ধ। তাই তাঁদের স্কুলও বন্ধ। এই অবস্থায় কর্তৃপক্ষের তরফে কেউই স্কুলে যাচ্ছেন না। লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে স্কুল ফের খুললে তাঁরা আসবেন। তখন অভিভাবকদের দাবি খতিয়ে দেখে সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement