প্রশ্নে পুলিশের ভূমিকা

বাড়ি থেকে বছর দশেকের এক আদিবাসী মেয়ে নিখোঁজ বলে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিধাননগর ডিএ ব্লকের এক দম্পতি। কেন তাঁদের বাড়িতে ওই শিশুটি এক বছর ধরে ছিল, তা জানার চেষ্টা না করে পুলিশ মেয়েটিকে খুঁজে সেই দম্পতির হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ০১:৩৬
Share:

বাড়ি থেকে বছর দশেকের এক আদিবাসী মেয়ে নিখোঁজ বলে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিধাননগর ডিএ ব্লকের এক দম্পতি।

Advertisement

কেন তাঁদের বাড়িতে ওই শিশুটি এক বছর ধরে ছিল, তা জানার চেষ্টা না করে পুলিশ মেয়েটিকে খুঁজে সেই দম্পতির হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। বিধাননগর উত্তর থানার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ওই মেয়েটিকে মুর্শিদাবাদ থেকে নিয়ে এসে পরিচারিকা হিসেবে রেখেছিলেন ওই দম্পতি। তাকে মারধরও করা হতো। তাই ২৪ এপ্রিল পালিয়ে যায় সে। পুলিশ যখন ওই বালিকাকে খুঁজে পায় ততক্ষণে হাসনাবাদ রেলপুলিশ তাকে উদ্ধার করে তুলে দিয়েছে জেলার চাইল্ড লাইনের হাতে। পরে শিশু কল্যাণ সমিতি হয়ে ওই বালিকার ঠাঁই হয় সল্টলেকের সুকন্যা হোমে। ওই বালিকা জানায়, সল্টলেকের ওই দম্পতি মারধর করে বলেই পালিয়ে মুর্শিদাবাদের ট্রেনে চেপেছিল সে।

মেয়েটির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে উত্তর ২৪ পরগনা চাইল্ড লাইন বিধাননগর উত্তর থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে শিশু শ্রমের অভিযোগ দায়ের করার আবেদন জানিয়েছে। তার মাঝে জেলার শিশু কল্যাণ সমিতি মেয়েটিকে মুর্শিদাবাদ শিশু কল্যাণ সমিতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ফলে মেয়েটিকে মারধরের অভিযোগ ধামা চাপা পড়ে যাবে বলে মনে করছেন শিশু বিশেষজ্ঞেরা। প্রশ্ন উঠেছে বিধাননগর পুলিশ কেন অভিযোগ দায়ের করল না, তা নিয়ে। বিধাননগর থানার পুলিশের দাবি, আইন মেনেই তারা যা করার করছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন