Murder Case

খুনের তদন্তে নেশাগ্রস্তের ছদ্মবেশে পাঁচ তদন্তকারী

প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনের কাছে, বিদ্যাসাগর সেতুর নীচে নেশার আস্তানায় অবিন্যস্ত পোশাকে প্রায় ১২ ঘণ্টা ছিলেন পাঁচ তদন্তকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ১০:৩০
Share:

নেশাগ্রস্তদের ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন রেল পুলিশের তদন্তকারীরা। — প্রতীকী চিত্র।

পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছিল, খুন হওয়া যুবক নেশা করতেন। কিন্তু কারা তাঁকে খুন করেছে, তা জানতে নেশাগ্রস্তদের ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন রেল পুলিশের তদন্তকারীরা। প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনের কাছে, বিদ্যাসাগর সেতুর নীচে নেশার আস্তানায় অবিন্যস্ত পোশাকে প্রায় ১২ ঘণ্টা ছিলেন পাঁচ তদন্তকারী। সেখান থেকে সূত্র পেয়েই প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এক যুবককে খুনের ঘটনার কিনারা করেছেন চিৎপুর রেল পুলিশের আধিকারিকেরা। ওই স্টেশন-সহ চক্র রেলের বিভিন্ন স্টেশনে আস্তানা গেড়ে নেশা করা দলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে মঙ্গলবার। ধৃতদের নাম মহম্মদ আরমান, বাকিবুল মণ্ডল ওরফে ছোটু, রাহুল মণ্ডল ওরফে মিলন ও রাজা মিশ্র। শিয়ালদহ রেল পুলিশের সুপার জন মার্সি জানান, ধৃতদের বুধবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।

শনিবার বিকেলে প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনে উদ্ধার হয় হাওড়ার জয়পুরের বাসিন্দা অরবিন্দ মণ্ডলের দেহ। মূলত চক্র রেলের বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। এক তদন্তকারী জানান, তদন্তে প্রথমেই হোঁচট খেতে হয় পুলিশকে। দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মের ও স্টেশনের বাইরের সিসি ক্যামেরা খারাপ। জানা যায়, সেখানে নেশাগ্রস্তেরা সব সময়ে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু তাঁরা কিছু বলতে না চাওয়ায় ঠিক হয়, কথা বার করতে ছদ্মবেশে সময় কাটানো হবে। কয়েক ঘণ্টা থাকার পরেই তথ্য মিলে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন