স্যরকে ছাড়ব না, একজোট পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন গৌতমকুমার দাস। সহ-শিক্ষকদের বক্তব্য, তিনি পঠনপাঠনের দিকে তো বটেই, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ তার সার্বিক উন্নতির দিকে নজর দিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০০:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

গত ৯ বছর ধরে তিনি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বাড়ির কাছে পোস্টিং পাওয়ার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাতে পাশ করেছেন, পেয়ে গিয়েছেন নিয়োগপত্রও। নতুন জায়গায় যোগ দিতে এখন প্রয়োজন শুধু বোর্ডের অনুমতি। সেই খবর জানাজানি হতেই ‘স্যর’কে ধরে রাখতে একযোগে পথে নামলেন পড়ুয়া, অভিভাবক এবং স্কুলের অন্য শিক্ষকেরা। সঙ্গে চলল ক্লাস বয়কট! মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা থানার রামকৃষ্ণ আশ্রম বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে। এ দিন পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষকের ঘরে গিয়ে স্কুল ছেড়ে না যাওয়ার জন্য তাঁকে কাকুতি-মিনতি করেন।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন গৌতমকুমার দাস। সহ-শিক্ষকদের বক্তব্য, তিনি পঠনপাঠনের দিকে তো বটেই, স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ তার সার্বিক উন্নতির দিকে নজর দিয়েছিলেন। যার ফলে গত কয়েক বছরে স্কুলের হৃত গৌরব অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয়েছিল।

গৌতমবাবু জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে। তাই তিনি স্বেচ্ছায় চেয়েছিলেন, বাড়ির কাছে পোস্টিং হোক। কিন্তু তাঁকে না-ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় পড়ুয়ারা। তাদের বক্তব্য, অন্তত স্কুলের কথা ভেবেও থেকে যান স্যর। আপাতত দিন দু’য়েক সময় চেয়েছেন গৌতমবাবু। তার পরে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন