উদ্ধার হওয়ার পরে লজ্জাবতী বাঁদর। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
লজ্জাবতী বাঁদর ও ধনেশ পাখি পাচারের অভিযোগে পাকড়াও করা হল দুই যুবককে। শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো (ডব্লিউসিসিবি)-র অফিসারেরা মানিকতলা থেকে গ্রেফতার করেন তাঁদের।
ডব্লিউসিসিবি জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সৌমেন বলিয়ার ও অনমোল খটিক। দু’জনেরই বাড়ি উত্তর কলকাতায়। ধৃতদের কাছ থেকে ২টি লজ্জাবতী বাঁদর (স্লো লরিস) ও পাঁচটি ধনেশ (তিনটি গ্রেট ইন্ডিয়ান হর্নবিল ও দু’টি পাই়ড হর্নবিল) উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি আলিপুর চিড়িয়াখানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সৌমেন বছর কয়েক আগে সাদা ময়ূর বিক্রির অভিযোগে কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন।
ডব্লিউসিসিবি সূত্রের খবর, সম্প্রতি আসাম থেকে লজ্জাবতী বাঁদর ও ধনেশ পাখি পাচার হবে বলে খবর মিলেছিল। সেই থেকে তক্কে তক্কে ছিলেন অফিসারেরা। পাখি ব্যবসায়ী সৌমেন ও অনমোলকে এই চক্রে চিহ্নিত করার পরেই তল্লাশি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধনেশ পাখি এবং স্লো লরিস ভারতীয় বন্যপ্রাণ আইনে প্রথম তফসিলভুক্ত। এর ফলে ধৃতদের তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে।’’