Coronavirus

বডিগার্ড লাইন্সে পচাগলা দেহ, রহস্য

বডিগার্ড লাইন্সে সম্প্রতি এক জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে পুলিশের তরফে ক্যান্টিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ০৩:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনার আবহে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে পুলিশের ঘরেই। বুধবার রাতে কলকাতা পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থাকা আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে ভিতরের ক্যান্টিন থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সমীর সিংহ (৪৭)। মুখে বালিশ চাপা দেওয়া অবস্থায় বুধবার রাতে দেহটি উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

মৃতের ভাই রতন নামে এক জন ওই ক্যান্টিনটি চালাতেন। বডিগার্ড লাইন্সে সম্প্রতি এক জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে পুলিশের তরফে ক্যান্টিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রতনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে তিনি জানান, মৃত সমীরবাবু তাঁর দাদা। তিনি বাঁকুড়ার বাসিন্দা। সমীরবাবু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে তাঁকে গ্রামের বাড়ি থেকে কলকাতায় এনে ওই ক্যান্টিনে রেখেছিলেন রতন। মঙ্গলবার সমীরবাবু মারা গিয়েছেন। কিন্তু সমীরবাবুর মুখে কেন বালিশ চাপা দেওয়া ছিল, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারাও।

বডিগার্ড লাইন্সে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়ার পরেই আলিপুর লাইন্সকে কন্টেনমেন্ট জ়োন করে দেওয়া হয়েছিল। এমনই পরিস্থিতির মধ্যেই এ দিন রাতে সমীরবাবুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হলেও প্রাথমিক ভাবে করোনার ভয়ে কেউ ক্যান্টিনে ঢুকতে চাননি বলেই খবর। এ দিন রাতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (গোয়েন্দা) এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়েরা রতনকে ডাকেন। রতন ক্যান্টিনের দরজা খুলে জানান, তাঁর দাদার গত কয়েক দিন জ্বর ছিল। মঙ্গলবার রাতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যেই তিনি দাদার সঙ্গেই ছিলেন। পুলিশকে রতন জানান, দাদাকে অসুস্থ অবস্থায় তিনি নিয়ে এসেছিলেন। ভেবেছিলেন ক্যান্টিনে রেখে দাদাকে ওষুধ এনে খাওয়ালে তিনি ঠিক হয়ে যাবেন। সমীরবাবু কী ভাবে মারা গিয়েছেন, তা জানতে তাঁর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত সতর্কতা বিধি মানা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। রতনকেও জেরা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন