কেওড়াতলার পার্কে বুধবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিরাপত্তারক্ষীদের শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিল পুর-প্রশাসন। সেই সঙ্গে ঠিক হয়ে গিয়েছিল, পুরসভায় তলব করা হবে রক্ষী সরবরাহকারী সংস্থাকেও।
কিন্তু শো-কজ করা হবে কাদের? ওই পার্কে রক্ষীই তো নেই!
অগত্যা পিছু হটলেন পুর-কর্তৃপক্ষ। ‘অজ্ঞাত’ কারণে শো-কজ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে পুরসভার তরফে বলা হয়, যে-হেতু সেখানে কোনও রক্ষী ছিল না, তাই কোনও রকম শো-কজের প্রশ্ন নেই।
প্রশ্ন উঠছে, কেওড়াতলায় চিত্তরঞ্জন দাশ মেমোরিয়াল পার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কোনও রক্ষী ছিল না কেন? ওই পার্কে চিত্তরঞ্জন ছাড়াও আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, বাসন্তীদেবী, বিধানচন্দ্র রায়, বিপ্লবী যতীন দাস, ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী-সহ অনেক মনীষীর সৌধ রয়েছে। এমন একটি জায়গায় রক্ষী নেই
কেন? রক্ষী যে ছিল না, সেটা পুর-কর্তৃপক্ষ ভুলেই বা গিয়েছিলেন কোন মন্ত্রে?
কেওড়াতলা শ্মশান, মহীশূর উদ্যান, সি আর দাশ মেমোরিয়াল পাশাপাশি। পুর নথি বলছে, ওই চত্বর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১৬ জন রক্ষী থাকার কথা। প্রশ্ন উঠছে, মূর্তি ভাঙার সময়ে সেই রক্ষীরা কী করছিলেন? মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘রাজনৈতিক ঘটনায় রক্ষীরা কী-ই বা করতে পারেন!’’ পুর-প্রশাসনের তরফে বলা হয়, কেওড়াতলা শ্মশান ও মহীশূর উদ্যানের জন্য রক্ষী থাকলেও সি আর দাশ পার্কের জন্য আলাদা রক্ষী ছিলেন না।
এক পুর আধিকারিক জানান, রক্ষীকে দায়ী করা হলে অন্য ‘কিছু’ বেরিয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় চুপচাপ থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। আজ, শুক্রবার ওই পার্কের মালিদের ডাকা হচ্ছে। পার্কের গেট বন্ধ থাকে। ভিতরে মালি কাজ করলেও তালা দেওয়াই থাকে। তা হলে হামলাকারীরা ঢুকল কী ভাবে? এই নিয়ে দিনভর চর্চা চলে পুরসভায়।