Kolkata Metro

বসেনি স্মার্ট গেট, জোকা মেট্রোয় যাতায়াত কাগজের টিকিটে!

কেউ কম ভাড়ার টিকিট কেটে যে বেশি দূরের গন্তব্যে যাবেন না, সেই নিশ্চয়তা কোথায়? এমন ক্ষেত্রে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেটাই বা সামাল দেবেন কে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৫১
Share:

শর্তসাপেক্ষে জোকা-তারাতলা মেট্রোপথে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করার জন্য রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র মেট্রোকর্তৃপক্ষ পেয়েছেন ঠিকই। জল্পনায় রয়েছে, ওই সব শর্ত পূরণ শেষে আসন্ন বড়দিনের আগে পরিষেবা চালু করে দেওয়ার বিষয়টিও। তবে, পরিষেবা চালু হলেও আপাতত স্মার্ট কার্ড বা টোকেন ব্যবহার করে যাত্রীরা সফরের সুযোগ পাবেন না। তাঁদের জন্য কাগজের টিকিট বা পেপার কার্ড টিকিট (পিসিটি) ব্যবহার করা হতে পারে বলে খবর। কারণ, তারাতলা থেকে জোকার মধ্যে সাড়ে ছ’কিলোমিটার মেট্রোপথে থাকা ছ’টি স্টেশনেরএকটিতেও এখনও প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের পথে স্বয়ংক্রিয় গেট বসেনি। ওই গেট সবে এসে পৌঁছেছে। শুধু গেট বসানোই নয়, মেট্রো ব্যবস্থার সঙ্গে সেটির সংযুক্তিকরণ-সহ অন্যান্য কাজ মিটতে এখনও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। ফলে উত্তর-দক্ষিণ এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর তুলনায় যাত্রী পরিষেবার নিরিখে যে বেশ খানিকটা পিছিয়ে থেকেই দৌড় শুরু করবে এই মেট্রো, সে কথা মানছেন আধিকারিকদের একাংশই।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের দেওয়া রিপোর্টেও স্বয়ংক্রিয় গেটের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। সমস্যা আঁচ করে মেট্রোকর্তৃপক্ষ ঠিক করেছেন, প্ল্যাটফর্মে ঢোকা-বেরোনোর পথে অনেক বেশি সংখ্যায় আরপিএফ কর্মী মোতায়েন করা হবে। তাঁরা যাত্রীদের বৈধতা খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু তার পরেও প্রশ্ন থাকছে, কেউ কম ভাড়ার টিকিট কেটে যে বেশি দূরের গন্তব্যে যাবেন না, সেই নিশ্চয়তা কোথায়? এমন ক্ষেত্রে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেটাই বা সামাল দেবেন কে?

মেট্রো সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের স্মার্ট গেটগুলি পার্ক স্ট্রিটের মেট্রো ভবনেসার্ভারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভাবে যুক্ত থাকে। কোন স্টেশন দিয়ে কত যাত্রী যাতায়াত করছেন, সেই হিসাব সেখানে ধরা পড়ে। জোকা-তারাতলা মেট্রোপথে গেট বসানোর পরে সেগুলির সঙ্গে মেট্রো ভবনের মূল সার্ভারের সংযোগ এবং সমন্বয় গড়ে তোলার বিষয়টিসময়সাপেক্ষ। পাশাপাশি, এই মেট্রোপথে ‘ওয়ান ট্রেন সিস্টেম’-এ পরিষেবা মিলবে। অর্থাৎ, একটি ট্রেন এক প্রান্তের স্টেশন থেকে ছেড়ে অন্য প্রান্তিক স্টেশনে পৌঁছনোর পরে আবার ফিরতি পথে ঘুরে আসবে। এই ব্যবস্থায় যাত্রীদের কতটাসাড়া পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় আছে মেট্রোর অন্দরেই। এ ছাড়া, এই রুটে এখনও আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হয়নি। দু’টি ক্ষেত্রেই কাজ শেষ করতে অন্তত দু’বছর লাগতে পারে।

Advertisement

ফলে, সব মিলিয়ে তড়িঘড়ি পরিষেবা শুরু হলেও এই মেট্রো কতটা ‘স্মার্ট’ হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন