কেন হঠাৎ জলে ঝাঁপ কিশোরীর, কাটেনি রহস্য

শনিবার রিজেন্ট পার্ক এলাকায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন মা। বাইরের কাউকে এ দিন ওই ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি

নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের মেধাবী ছাত্রী। আচমকা সে কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিল, তা নিয়ে ধন্দে পরিজনেরা। শুক্রবার রাতে নেতাজিনগর থানা এলাকার বাসিন্দা, দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর দেহ রানিদিঘি এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। তাতে প্রাথমিক ভাবে অবসাদের ইঙ্গিত মিলেছে। পড়াশোনা সংক্রান্ত চাপের ফলেই ছাত্রীটি এমন ঘটিয়েছে কি না, তা জানতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

শনিবার রিজেন্ট পার্ক এলাকায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন মা। বাইরের কাউকে এ দিন ওই ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পুলিশও বিস্তারিত ভাবে কথা বলতে পারেনি শনিবার দুপুর পর্যন্ত। তবে এ দিন রাত পর্যন্ত পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিনই ওই কিশোরীর দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে। তাতে প্রাথমিক ভাবে জলে ডুবে মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামিয়ে পুকুর থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, ওই কিশোরী পুকুরের পাড়ে বসে মোবাইল ঘাঁটছিল। সেই সময়ে ঘাটের আশপাশে আরও কয়েক জন ছিলেন। হঠাৎই পিঠের ব্যাগ এবং মোবাইল পাড়ে রেখে আচমকা সিঁড়ি দিয়ে জলে নেমে পড়ে মেয়েটি এবং জলের গভীরে এগিয়ে যায়। ওই পুকুরটি খুব গভীর নয় বলেই স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীকে রাতের অন্ধকারে জলে নামতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুরু করেন। ঘাটের কাছে থাকা কয়েক জন জলে নেমে তল্লাশি চালিয়েও কিশোরীর সন্ধান পাননি। তখন তাঁরাই নেতাজিনগর থানায় খবর দেন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে জল থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর দেহ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর রেখে যাওয়া ব্যাগের মধ্যে থেকে বই-খাতার সঙ্গেই মিলেছে সুইসাইড নোটটি। যাতে পড়াশোনার চাপের কথা বলা হয়েছে। নোটটি ওই কিশোরীই লেখা কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনটির স্ক্রিন লক থাকায় শনিবার বিকেল সেটি পর্যন্ত খুলতে পারেনি পুলিশ। এক পুলিশ কর্তা জানান, পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, টিউশনিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। সেখানে কিছু ঘটেছিল কি না, তা জানতে তার সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা। মোবাইল ফোনটি খুলতে পারলেও কিশোরীর মৃত্যু রহস্যের জট কাটতে পারে বলে দাবি ওই পুলিশকর্তার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন