পুলিশ চিনতে উর্দিতে আলো

লালবাজার জানিয়েছে, আপাতত ট্র্যাফিক পুলিশের বাছাই করা কয়েকটি গার্ডে পাঁচটি করে এলইডি আলো দেওয়া হয়েছে। যার ব্যবহারও শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ১৪:০৯
Share:

দিশা: এমন আলোই লাগানো থাকবে উর্দিতে। নিজস্ব চিত্র

বিপদে পড়লে তাঁদের আলো দিশা দেখাবে!

Advertisement

লালবাজার সূত্রে খবর, রাতে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের যাতে সহজে চিহ্নিত করা যায় তার জন্য ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদের উর্দিতে লাগানো থাকবে লাইট। পুলিশের দাবি, বডিলাইট নামে পরিচিত ওই আলো জ্বললে অন্ধকারে প্রায় ৫০০ মিটার দূর থেকে তা দেখতে পাওয়া যাবে। ফলে রাতে বিপদে পড়লে যে কেউ সহজেই পুলিশকর্মীদের খুঁজে পাবেন।

লালবাজার জানিয়েছে, আপাতত ট্র্যাফিক পুলিশের বাছাই করা কয়েকটি গার্ডে পাঁচটি করে এলইডি আলো দেওয়া হয়েছে। যার ব্যবহারও শুরু হয়ে গিয়েছে। গুরগাঁওয়ের কারখানায় তৈরি এই এলইডির আলোর দু’টি রং— নীল ও লাল। প্রয়োজনে এই আলো টর্চ হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এই আলো এক বার চার্জ দেওয়ার পরে একটানা দশ ঘণ্টা ব্যবহার করা যাবে। এক পুলিশকর্তা জানান, মহড়া হিসেবে মঙ্গলবার থেকে ওই আলো শরীরে লাগিয়ে ডিউটি করতে শুরু করেছেন পুলিশকর্মীরা। ধীরে ধীরে রাতে কর্তব্যরত সব কর্মী ও অফিসারদের এই আলো দেওয়া হবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, এখন সার্জেন্টদের উর্দিতে বডি ক্যামেরা লাগানো থাকে। যার সাহায্যে ট্র্যাফিক কেস করার পুরো ঘটনা রেকর্ড করে রাখেন অফিসারেরা। এ বার উর্দিতে থাকবে আলো। বিদেশে প্রচলিত হলেও দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্য ছাড়া অন্য কোথাও এই বডিলাইট ব্যবহার করা হয় না বলে লালবাজারের একাংশের দাবি।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা িগয়েছে, কমিশনার রাজীব কুমার বারবার নাগরিকদের স্বার্থে পুলিশকে আরও বেশি রাস্তায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে বিপদে-আপদে মানুষ সহজেই পুলিশকে দেখতে পায়। কিন্তু রাতে অনেক সময়েই তা সম্ভব হয় না বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এখন থেকে ওই আলো পুলিশকর্মীদের উর্দিতে থাকলে রাতে বিপদের সময়ে সাধারণ মানুষ কাছাকাছি কোনও পুলিশকর্মী আছেন কি না তা সহজে টের পেয়ে যাবেন।

গত এক বছর ধরে রাতের শহরে মোটরবাইকে চেপে বিভিন্ন রাস্তায় টহল দেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মী এবং অফিসারের। রাতে ওই টহলদারির সময় অন্য গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। কিন্তু উর্দিতে ওই উজ্জ্বল আলো লাগানো থাকলে অন্য গাড়ির চালক আগে থেকেই সর্তক হতে পারবেন বলে মনে করছেন কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন