CCTV Camera

Hidden camera: দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে গোপন ক্যামেরা

সোনারপুর ও‌ নরেন্দ্রপুর থানার অধীনে রয়েছে ওই দুই বিধানসভা এলাকা। যেখান থেকে মাঝেমধ্যেই ছিনতাই বা ডাকাতির খবর আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১ ০৭:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুরসভা ও প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনেই সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়, স্টেশন চত্বর ও ব্যস্ত বাজারগুলি সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। শহর লাগোয়া রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা-সহ দুই বিধানসভা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নজরে রাখতে এই উদ্যোগ বলে জেলা ও পুর প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় বিধায়কও স্বীকার করেছেন, ওই সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ।

Advertisement

সোনারপুর ও‌ নরেন্দ্রপুর থানার অধীনে রয়েছে ওই দুই বিধানসভা এলাকা। যেখান থেকে মাঝেমধ্যেই ছিনতাই বা ডাকাতির খবর আসে। কিন্তু নজরদারির পরিকাঠামোর অভাবে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলে অপরাধ ঘটে যাওয়ার পরেও কিছু ক্ষেত্রে কিনারা হয়ে ওঠে না। সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম বলেন, “বছরখানেক ধরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল। তার পরেই বিধানসভা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা হয়।”

পুলিশকর্তাদের মতে, “ট্রেন থেকে নেমে মূলত স্টেশন চত্বরে গভীর রাত ও ভোরে দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়। নির্দিষ্ট এলাকায় অপরাধ ঘটিয়ে তারা চম্পট দেয়। সেই কারণে স্টেশন চত্বরে সিসি ক্যামেরা থাকলে, ওই এলাকার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা সহজ হবে।”

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, বিভিন্ন তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সিসি ক্যামেরা বসানো চলছে। ইতিমধ্যেই সাংসদ, পুরসভা এবং বিধায়ক, এই তিন খাতের উন্নয়ন তহবিল থেকে ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করে তা বসানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সেই তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান জুড়ছে। এলাকা ভিত্তিক কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের নজরে থাকছে ওই সব কন্ট্রোল রুম। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পল্লব দাস বলেন, “বিস্তীর্ণ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা সম্ভব না। সেই কারণে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেছে তা বসানো হচ্ছে। তবে বহু নাগরিক পুলিশের অনুমোদন নিয়ে নিজেদের বাড়ির আশপাশে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন।”

গড়িয়া স্টেশন চত্বর এবং সংলগ্ন একটি বাজারে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ সম্প্রতি শুরু হয়েছে। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনের কাছে একাধিক বার অভিযোগ জমা পড়েছিল। সূত্রের খবর, সে সব অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েই প্রশাসনের এই উদ্যোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন