পুজোর শহরে নিরাপদ ছিল রাস্তার খাবার

পুরসভা সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরের মতো এ বছরেও পুজোর সময়ে হোটেল, রেস্তরাঁগুলোতে লাগাতার অভিযান চালিয়েছিল পুরসভা। মোট দু’দফায় অভিযান চালানো হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন পুর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৪০
Share:

স্বস্তিদায়ক: পুজোয় নিরাপদ ছিল রাস্তার এমন খাবারই। ফাইল চিত্র

পুজোর সময়ে শহরের হোটেল-রেস্তরাঁর খাবার নিরাপদ ছিল। পুজোর ক’দিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার অভিযান চালিয়ে খাবারের যে সমস্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের প্রাথমিক রিপোর্টের ফল এমনটাই এসেছে বলে শুক্রবার জানাল কলকাতা পুরসভা।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরের মতো এ বছরেও পুজোর সময়ে হোটেল, রেস্তরাঁগুলোতে লাগাতার অভিযান চালিয়েছিল পুরসভা। মোট দু’দফায় অভিযান চালানো হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন পুর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। প্রথম দফায় ৯ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত রেস্তরাঁ-হোটেলগুলিতে ঘুরেছিল পুর প্রতিনিধিদল। দ্বিতীয় দফায় ১৬ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ওই অভিযান চালানো হয়েছিল।

পুর তথ্য অনুযায়ী, ওই ক’দিনের সময়সীমার মধ্যে শহরের দু’টি সাততারা হোটেল, ১৩১টি নামী রেস্তরাঁ-সহ অনেকগুলি মিষ্টির দোকানের থেকে খাবার, মিষ্টি-সহ যাবতীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ দিন পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে খাবারের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সন্তোষজনক এসেছে। পুজোমণ্ডপ সংলগ্ন দোকানগুলির খাবারের মান নিয়েও কোনও সমস্যা ছিল না। বাগবাজার, কুমোরটুলি এলাকার প্রায় দেড়শো দোকানের মধ্যে মাত্র দু’টি দোকানের খাবার সন্তোষজনক ছিল না।’’

Advertisement

পুর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার অভিযান চালানোর ফলেই সচেতনতা তৈরি হয়েছে হোটেল-রেস্তরাঁ মালিকদের মধ্যে। অতীনবাবুর কথায়, ‘‘হোটেল-রেস্তরাঁ মালিকেরা পুরোপুরি সহযোগিতাও করেছেন। অভিযান চালাতে গিয়ে কোথাও আমরা বাধা পাইনি।’’

তবে শহরের ফুটপাথের খাবার কতটা নিরাপদ ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে অবশ্য। পুর আধিকারিকদের একাংশ স্বীকার করে নিচ্ছেন, রাস্তায়-রাস্তায়, অলি-গলির ফুটপাথে যে সংখ্যক খাবারের দোকান বসে পুজোর সময়ে, তাতে সব দোকানকেই আতসকাচের তলায় আনাটা সম্ভবপর নয়। এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘পরিকাঠামোর একটা অভাব রয়েছে ঠিকই। তবু একটা চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন