ফাইল চিত্র।
আত্মহত্যা ঠেকাতে মোবাইল নম্বর ঘোষণা করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, পরিবারের কেউ তিন ঘণ্টার বেশি নিখোঁজ থাকলে ওই নম্বরে জানাতে। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে ট্রেনের গতি কমানোর কথাও বলা হয়েছিল। তবুও বন্ধ করা যাচ্ছে না লাইনে ‘ঝাঁপ’ দেওয়ার প্রবণতা। মহাত্মা গাঁধী মেট্রো স্টেশনে ফের তেমনই ঘটনা ঘটল রবিবার বিকেলে। মেট্রো সূত্রের খবর, বিকেল ৫-২৪ মিনিটে ওই স্টেশনের ডাউন লাইনে এক মহিলা ট্রেনের সামনে ‘ঝাঁপ’ দেন। শেষ মুহূর্তে চালক ব্রেকও কষেন। কিন্তু ততক্ষণে দেহটি চাকার তলায় ঢুকে গিয়েছে। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, তৃতীয় লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে মেট্রো ও আরপিএফ কর্মীরা উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন। কিন্তু দেহ বার করতে সাড়ে ৬টা বেজে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চালকের কামরার সামনের দিকে ধাক্কা লেগে দেহটি এমন ভাবে ট্রেনের তলায় ঢুকে যায়, যেটেনে বার করতেই অনেক সময় লাগে। ফলে এক ঘণ্টারও বেশি মেট্রো চলাচল বিঘ্নিত হয়। ছুটির দিন হলেও মেট্রো বন্ধ থাকায় ভোগান্তি হয় যাত্রীদের।
মেট্রো সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়েছেন ৩১৫ জন। বাঁচানো গিয়েছে ১৫৭ জনকে।
মৃত্যু হয়েছে ১৫৮ জনের। মৃতদের মধ্যে ৩০ জন মহিলা।