custodial death

জেলবন্দির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি

এক ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে নিউ টাউন থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল অশোক হালদার (৪৫) নামে এক জনকে। অশোক জেলবন্দি অবস্থায় শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:২২
Share:

অশোক হালদার জেলবন্দি অবস্থায় শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতীকী ছবি।

একটি মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল নিউ টাউনের শুলংগুড়ি এলাকায়। চলল মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ। ভাঙচুর চলল স্থানীয় জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২) পঞ্চাতের প্রধানের বাড়িতেও। বিক্ষোভ সামলাতে হিমশিম খেতে হল পুলিশকেও।

Advertisement

স্থাএক ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে নিউ টাউন থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল অশোক হালদার (৪৫) নামে এক জনকে। অশোক জেলবন্দি অবস্থায় শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েন।নীয় বাসিন্দারা জানান, পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। শনিবার তাঁর দেহ শুলংগুড়িতে এনে পরিবার ও পরিজনেরা অভিযোগ করেন, অশোককে মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর মৃত্যুও স্বাভাবিক ভাবে হয়নি। অশোকের পরিবারের অভিযোগ, তিনি এক কাঠের ব্যবসায়ীর থেকে টাকা পেতেন। অশোক সেই টাকা আদায় করতে গেলে ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং হাসপাতালে পুলিশকে জানান, অশোক ও তাঁর এক সঙ্গী তাঁকে জোর করে বিষ খাইয়ে দিয়েছেন। এর পরে অশোককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৮ দিন জেলে থাকার পরে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।

শনিবার পুলিশকর্তারা ওই এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, সেখানে দীর্ঘক্ষণ অশোকের দেহ আটকে রাখা হয়। মৃতের পরিবারের আরও অভিযোগ, জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া (২) পঞ্চায়েতের প্রধান শিবু গায়েন ও তাঁর স্ত্রী শম্পার প্ররোচনায় লাল্টু মুন্সি নামে এক যুবক অশোকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ওই কাঠ ব্যবসায়ীকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে বলে মিথ্যা সাক্ষ্য দেন। যার জেরে অশোক গ্রেফতার হন।

Advertisement

এ দিন জনরোষ আছড়ে পড়ে শিবু ও লাল্টুর বাড়িতে। দু’জনের বাড়িতেই ভাঙচুর চলে। শিবুর বক্তব্য, ‘‘অশোক বন্ধু ছিলেন। আমি কেন ওঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়াতে যাব? এ সব কবে ঘটেছে, আমি কিছুই জানি না। এর পিছনে অন্য রাজনৈতিক শক্তি কাজ করছে। পুলিশ তদন্ত করুক।’’

এ দিন ওই এলাকায় প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন