Kolkata Bus

নির্দিষ্ট মাপের আসন বাধ্যতামূলক, থাকবে না আপৎকালীন দরজা! নয়া বাস-বিধি পরিবহণ দফতরের

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বাসে এখন থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে রাখতে হবে একটি ফার্স্ট এইড বক্স এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। ২০০৮ সালের একটি বিজ্ঞপ্তিতে যে সব শর্তাবলি উল্লেখ ছিল, সেগুলিও এই নতুন নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৫ ১৫:৫২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

যাত্রী সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ নিল পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি জারি করা একটি নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বাসের কাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত একাধিক নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি বাস ছাড়াও, মিনিবাস, স্কুলের পুলকার এবং যাত্রী পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত সব ধরনের বাস এই নিয়মের আওতায় আসবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বাসে থাকবে না কোনও আপৎকালীন দরজা। তার পরিবর্তে যাত্রী ওঠানামার মূল দরজাতেই রাখতে হবে ‘গ্র্যাব রেল’ বা ধরার হাতল। এটি যাত্রীদের নিরাপদ ভাবে বাসে ওঠানামায় সাহায্য করবে বলে মনে করছে দফতর। এ ছাড়া বাসের সিঁড়ির উচ্চতা মাটি থেকে ২৫ থেকে ৪৩ সেন্টিমিটার সীমার মধ্যে রাখতে হবে, যাতে বয়স্ক ও শারীরিক ভাবে অক্ষম যাত্রীরাও স্বাচ্ছন্দ্যে বাসে উঠতে পারেন। বাসের দরজা ৫৩ সেন্টিমিটার চওড়া রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

Advertisement

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বাসে এখন থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে রাখতে হবে একটি ফার্স্ট এইড বক্স এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। ২০০৮ সালের একটি বিজ্ঞপ্তিতে যে সব শর্তাবলি উল্লেখ ছিল, সেগুলিও এই নতুন নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চালকের কেবিনের নিরাপত্তা, জানলার নকশা, সিটের বিন্যাস এবং টায়ারের নির্দিষ্ট মানদণ্ড। নতুন ভাবে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে—যাত্রীদের বসার জায়গা। প্রায়ই বাসে আসন নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই সমস্যা নিরসনে এ বার থেকে প্রতিটি আসনের জন্য নির্ধারিত হবে ৩৮ বর্গ সেন্টিমিটার জায়গা।

তা ছাড়া, সামনের ও পিছনের আসনের মাঝে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তার জন্য এই দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক। পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, এই সমস্ত পরিবর্তন বাসের ফিটনেস পরীক্ষার আগে কার্যকর করতেই হবে। সবশেষে, পরিবহণ দফতর স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যেসব বাস এই শর্তগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হবে, তাদের আর ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। ফলে, রাস্তায় চলাচলের অনুমতিও তারা পাবে না। এই নির্দেশিকার ফলে বাস পরিষেবায় এক দিকে যেমন যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, তেমনই বাস মালিকদের জন্য এটি হতে চলেছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সময়মতো কাঠামোগত পরিবর্তন না আনলে এবং ফিটনেসের ছাড়পত্র না পেলে বহু বাস রাস্তায় নামার যোগ্যতা হারাতে পারে।

Advertisement

এই নতুন পদক্ষেপে পরিবহণ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা আরও মজবুত হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement