ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থেকেও কোনও বাস বা গাড়ি না পেয়ে ১৪-১৫ জন একটি ছোট ম্যাটাডরে উঠেছিলেন। কিন্তু বাসন্তী হাইওয়েতে পিছন থেকে গাড়ির ধাক্কায় ম্যাটাডর থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল তিন জনের। জখম হয়েছেন এক জন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। মৃতদের নাম মহম্মদ আজাদ খান (৪০), ওয়াকার খান (১৬) ও সঞ্জয় মান্না (২০)। আজাদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে। ওয়াকার ও সঞ্জয় কলকাতার তিলজলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে বানতলা থেকে গাড়ি ধরার জন্য ১৪-১৫ জন অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু মধ্য কলকাতায় আসার জন্য বাস বা গাড়ি না পেয়ে সকলে মিলে ওঠেন ছোট ম্যাটাডরে। বাসন্তী হাইওয়েতে ওঠার পরে একটি বড় গাড়ি আচমকা ম্যাটাডরটিকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন চার জন। ম্যাটাডরে থাকা আর এক যাত্রী জানান, দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে জনবসতি না থাকায়, বাকি যাত্রীরাই ওই চার জনকে উদ্ধার করেন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আজাদ, ওয়াকার ও সঞ্জয়কে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত যাত্রী মহম্মদ সাজাদকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তিন জনের মধ্যে মহম্মদ আজাদ খান উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। ওয়াকারের বাড়ি তিলজলার বিবিবাগান রোডে। সঞ্জয় উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের বাসিন্দা। সপ্তাহখানেক আগে মাদ্রাসার জন্য চাঁদা তুলতে কলকাতায় এসেছিলেন আজাদ। এ দিন লেদার কমপ্লেক্সে সেই সংক্রান্ত কাজেই গিয়েছিলেন। আজাদের বন্ধু সুয়েব খান জানান, এ দিন সমাবেশের জন্য গাড়ি না পাওয়াতেই ১৪-১৫ জন ছোট ম্যাটাডরটিতে ওঠেন। তিন জনেরই আত্মীয়-বন্ধুদের অভিযোগ, বাসন্তী হাইওয়েতে পিছন থেকে একটি সিটিসি বাস ম্যাটাডরটিকে ধাক্কা মেরে পালায়। ম্যাটাডরের যাত্রীদের চিৎকারেও সেটি থামেনি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, একটি টাটা-৪০৭ ম্যাটাডরটিকে ধাক্কা মারাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক গাড়ি-সহ চালক পলাতক।