Crime

ঢাকা থেকে কলকাতায় এসেছিলেন চোখ দেখাতে, জাগুয়ারের ধাক্কায় আর ফেরা হল না দুই বন্ধুর

ভাইয়ের এমনভাবে মৃত্যু হয়েছে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না মইনুলের দাদা কাজি মহম্মদ সাইফুল আলম।

Advertisement

সোমনাথ মণ্ডল

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ১৯:৪৭
Share:

তানিয়া ও মইনুল। —নিজস্ব চিত্র।

চোখের সমস্যা নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন মহম্মদ মইনুল আলম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু ফারহানা ইসলাম তানিয়া এবং তুতোভাই জিয়াদ। মাঝেমধ্যেই কলকাতায় আসতেন মইনুল। কিন্তু, এ বার আর দেশে ফেরা হল না। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই বন্ধু মইনুল ও তানিয়ার। অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচেছেন জিয়াদ।

Advertisement

ভাইয়ের এমনভাবে মৃত্যু হয়েছে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না মইনুলের দাদা কাজি মহম্মদ সাইফুল আলম। শনিবার বিকালে যখন তাঁকে ফোন করা হয়, তিনি তখন যশোহরের বিমান ধরছেন। কান্না জড়ানো গলায় বললেন, ‘‘ভাবতেই পারছি না এমনটা হয়েছে। পরশু রাতেই কথা হয়েছিল। আমি ঝিনাইদহে যাচ্ছি বাবা-মায়ের কাছে। ওঁরা তো এখনও কিছু জানেনই না।’’ সাইফুল জানান, তানিয়া তাঁর ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন। জিয়াদ এবং তানিয়াকে নিয়ে মইনুল গত ১৪ তারিখ ভারতে আসেন। উঠেছিলেন মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি হোটেলে।

মইনুল যশোহরের ঝিনাইদহের বাসিন্দা। তবে, গ্রামীণ ফোনে কাজ করার সূত্রে তিনি ঢাকায় থাকতেন। ম্যানেজার পদে কর্মরত মইনুলের স্ত্রী এবং চার বছরে ছেলেও তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। বন্ধু তানিয়া ঢাকায় সিটি ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন সাইফুল।১৫ অগস্ট রাতে মইনুলের সঙ্গে শেষ কথা হয় সাইফুলের। তিনি বলেন, “কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চোখ দেখাতে গিয়েছিল এর আগে। এ বারের যাওয়া ছিল রুটিন চেকআপের জন্য। তানিয়া-জিয়াদও ওর সঙ্গে গিয়েছিল।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘাতক জাগুয়ারের স্টিয়ারিংয়ে ছিলেন আরসালানের মালিকের ছেলে, গ্রেফতার করল পুলিশ​

আরও পড়ুন: মধ্যরাতের কলকাতায় বেপরোয়া জাগুয়ার, মার্সিডিজকে ধাক্কা মেরে পিষে মারল ২ জনকে​

পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে অন্য একহোটেলে খাওয়াদাওয়ার পর তিন জন ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন। ফিরছিলেন মির্জা গালিব স্ট্রিটের হোটেলে। হঠাৎ দ্রুতগতিতে আসা এটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে তাঁদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মইনুল এবং তানিয়ার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনারের কার্যালয়সূত্রে খবর, অফিসিয়াল সমস্ত বিষয় মিটে গিয়েছে। আগামী কাল অর্থাৎ রবিবার সকালেই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হবে মইনুল-তানিয়ার দেহ।সাইফুল এ দিন বলেন, ‘‘কাল সকালে ভাইয়ের দেহ বেনাপোল থেকে নিয়ে সোজা ঝিনাইদহে আনা হবে। এখানেই হবে শেষকৃত্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন