কেন ফুটবল পাগল, গল্প শোনাবে কলকাতা

আগামী ৮ তারিখে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যুব বিশ্বকাপের প্রথম খেলা। সেই আবহেই কলকাতার ঐতিহ্যকে পুরোদমে তুলে ধরতে চায় রাজ্য সরকার।

Advertisement

অত্রি মিত্র

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০১
Share:

তোড়জোড়: বিশ্ব ফুটবলে বাংলার ছোঁয়া। ব্যস্ততা যুবভারতীতে। ছবি: শৌভিক দে।

‘বড়দের’ বিশ্বকাপের মূলপর্বেই উঠতে পারে না একটা দেশ। আয়োজক হওয়ায় খেলতে পেয়েছে এ বারের যুব বিশ্বকাপে। অথচ সেই দেশেরই কলকাতা বরাবর দু’ভাগ হয়ে যায় বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনা-ব্রাজিল মুখোমুখি হলে। নীল-সাদা আর হলুদ পতাকা ঝলমলিয়ে ওঠে অলিগলিতে।

Advertisement

নিয়মিত বিশ্বকাপ-খেলিয়ে দেশগুলো কি জানে ফুটবল নিয়ে এ শহরের পাগলামির কথা?

না-জানলে এ বার জানবে। আগামী ৮ তারিখে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যুব বিশ্বকাপের প্রথম খেলা। সেই আবহেই কলকাতার ঐতিহ্যকে পুরোদমে তুলে ধরতে চায় রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফে চেষ্টা চলছে প্রতিটি খেলা শুরুর আগে এবং বিরতিতে কলকাতা নিয়ে মিনিট দুয়েক বা পাঁচেকের একটি তথ্যচিত্র দেখানোর। বিমানবন্দরে বসেছে বিশেষ ‘অনুসন্ধান কেন্দ্র’। আছেন একঝাঁক লোকশিল্পী— যাঁরা গান গেয়ে অভ্যর্থনা করছেন বিদেশিদের। দু’এক দিনের মধ্যেই অনুসন্ধান কেন্দ্র বসবে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে।

Advertisement

শহরের এই বিপণনে বড় ভূমিকা নিচ্ছে রাজ্য পর্যটন এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। সমস্ত পাঁচতারা ও মাঝারি মাপের হোটেলগুলিতে পাঠানো হয়েছে পর্যটনের যাবতীয় লিফলেট। পর্যটন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘‘উদ্দেশ্য একটাই, অনূর্ধ্ব ১৭ যুব বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে যে সব বিদেশি আসছেন, তাঁরা যেন বাংলা সম্পর্কে দারুণ ধারণা নিয়ে ফেরেন। তাতেই বাংলার সংস্কৃতি ও পর্যটন শিল্পের প্রচার হবে।’’

আরও পড়ুন: স্কুলে -লজেন্স, সতর্ক করা হচ্ছে কলকাতাকেও

যা দেখে একটি পর্যটন সংস্থার কর্তার প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের কাজ সহজ হয়ে যাচ্ছে।’’ অ্যাসোচ্যাম, সিআইআই, ফিকির মতো বণিকসভার মতে, কলকাতার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হলে রাজ্যের সমস্ত বাণিজ্যিক উদ্যোগই লাভবান হবে। বিপণন বিশেষজ্ঞ রাম রায়ের কথায়, ‘‘জার্মানি, ইংল্যান্ড, স্পেন-সহ সব ফুটবল পাগল দেশেই খেলা ঘিরে বিপুল বাণিজ্য হয়। কলকাতাও সেই পথে হাঁটতে পারে।’’

দু’এক দিনের মধ্যেই শহরের অধিকাংশ হোর্ডিংয়ের ‘দখল’ নেবে রাজ্য সরকার। তাতে যুব বিশ্বকাপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে উন্নয়নের প্রচারও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অধিকাংশ পুজো কমিটিই তাদের পুজোয় যুব বিশ্বকাপের প্রচার করেছে। বিসর্জন কার্নিভালেও আগাগোড়া ছিল ফুটবলের ছোঁয়া। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘কার্নিভালে ফিফার ২০ জনের একটি দল এসেছিল। কার্নিভাল দেখে তাঁরা খুব খুশি।’’

নবান্নও ঠিক এটাই চায়। কার্নিভালের ‘ভাললাগা’ ছড়িয়ে যাক বিশ্বকাপ জুড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement