ভাগ্নিকে ধর্ষণে ১৫ বছরের জেল মামার

তদন্তকারীদের দাবি, মেয়েটির মা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মেয়ে বহু বার তাঁকে ঘটনাটি জানালেও তিনি লোকলজ্জার ভয়ে বারবার তা এড়িয়ে যেতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ০১:২৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

নাবালিকা ভাগ্নিকে ধর্ষণের অপরাধে তার মামাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিল আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত। বুধবার বিচারক সোনিয়া মজুমদার ওই রায় দেন। কারাবাসের পাশাপাশি তার আর্থিক জরিমানাও হয়েছে।

Advertisement

আলিপুর আদালত সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের মার্চে মেয়েটির দিদিমা চেতলা থানায় অভিযোগে জানান, তাঁর নাতনিকে দীর্ঘ দিন ধরে ধর্ষণ করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতে মগরাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মায়ের কাছেই থাকত মেয়েটি। দোষী ব্যক্তি ওই মহিলার জেঠতুতো ভাই। পুলিশের কাছে অভিযোগে মেয়েটির দিদিমা জানিয়েছেন, মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে সে এসে তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করত।

তদন্তকারীদের দাবি, মেয়েটির মা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, মেয়ে বহু বার তাঁকে ঘটনাটি জানালেও তিনি লোকলজ্জার ভয়ে বারবার তা এড়িয়ে যেতেন। শেষে ২০১৬ সালের মার্চে কিশোরী আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখনই পুরো ঘটনা জানাজানি হয়। এর পরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর দিদিমা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে মা মেয়েিটকে নিজের কাছে রাখতে রাজি হননি। নাতনির পড়াশোনা-সহ আনুষঙ্গিক খরচ বহন করার সামর্থ্য দিদিমারও ছিল না। এই পরিস্থিতিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে কিশোরীকে হোমে পাঠায় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এখন হোমেই পড়াশোনা করছে মেয়েটি।

Advertisement

আজ কোথায় কোথায় ভোট, দেখে নিন

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় ও মাধবী ঘোষ মাইতি বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখেই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলেছে। ওই নাবালিকাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ

দিয়েছেন বিচারক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement