অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় কি সব সত্যি কথা বলছেন? বেশ কয়েক দফা প্রশ্নের পর তদন্তকারী অফিসারদের একাংশের এমনটাই মনে হচ্ছে। আর সেই তত্ত্বে আরও এক বার সিলমোহর পড়ল। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটির প্রস্তুতকারী সংস্থা তার ডিভাইস পরীক্ষা করে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার আগে প্রবল গতিতে গাড়ি চালিয়েছিলেন বিক্রম। প্রতি ঘণ্টায় যার গতিবেগ ছিল প্রায় ১০৫ কিলোমিটার। লেক মলের মতো এলাকায় এত জোরে গাড়ি চালানো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন, কোর্টে গোপন জবানবন্দি সোনিকার চার বন্ধুর, হাজির সাহেবও
দুর্ঘটনার পরেই যে সব প্রশ্ন উঠেছিল, তার মধ্যে প্রধান ছিল দু’টি। প্রথম, বিক্রম কি মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন? সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন অভিনেতা। পরে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায় সেই রাতে বিক্রমের হাতে ধরা ছিল পানীয়ের গ্লাস। পরে পুলিশি জেরায় বিক্রম মদ্যপানের কথা স্বীকার করেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, মদ্যপান করলেও গাড়ি চালানোর মতো অবস্থায় ছিলেন।
দ্বিতীয় প্রশ্ন উঠেছিল, বিক্রম কি সে দিন প্রবল গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন? গতিই কি প্রাণ কাড়ল সোনিকার? বিক্রম সেই প্রশ্নের উত্তরেও সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। এমনকী গাড়ির সিটবেল্ট বাঁধা থাকলেও কেন এয়ারব্যাগ খোলেনি তা নিয়ে উল্টে প্রশ্ন করেন তিনি। অভিযোগের আঙুল তোলেন গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার দিকে।
আরও পড়ুন, অবশেষে মদ্যপানের কথা কবুল করলেন বিক্রম
এ দিন সেই সংস্থার তরফে পরীক্ষার পর পুলিশে জানানো হয়, প্রবল গতিতে সে দিন গাড়ি চালিয়েছিলেন বিক্রম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিক্রমের একাধিক বন্ধু কিন্তু চাইছেন, যাই ঘটে থাকুক, বিক্রম সত্যি কথা বলুন। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন চার প্রত্যক্ষদর্শীও।