থইথই: জমা জল পেরিয়ে কাজে। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। ছবি: সুমন বল্লভ
গত কয়েক মাস ধরে সংস্কারের কাজ চলছে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের ক্যাজুয়াল্টি বিল্ডিংয়ে। অভিযোগ, সেই কাজ চলাকালীন দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে উপর থেকে জল চুঁইয়ে পড়ে জমে থাকছে ওই ভবনের বেসমেন্টে। ক্রমাগত জল জমতে জমতে সেই ঘরের এখন থইথই অবস্থা। কোনও কর্মীও সেখানে বসতে পারছেন না।
বেসমেন্টের ঘরটি মূলত হাসপাতালের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেখানেই থাকে অনেক ওষুধপত্র। এ ছাড়াও থাকে স্যালাইনের বোতল। অভিযোগ, ওই সব ওষুধ জলে ডুবে থাকায় রোগী-পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, বেসমেন্টে জল জমার জন্য পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি।
শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের মূল প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকে একটু এগোতেই ডান দিকে ক্যাজুয়াল্টি বিল্ডিং। সংস্কারের কাজের জন্য সপ্তাহ দুই আগেও বেসমেন্টে জল জমার কথা স্বীকার করেছিলেন হাসপাতালের সুপার সৌমাভ দত্ত। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘সে সময়ে বালতি করে জল তুলে ফেলা হয়েছিল। তবে রবিবার রাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জন্য বেসমেন্টে আবার জল জমে যায়। এ দিন সকালেই পূর্ত দফতরকে বিষয়টি জানাই। পাম্পের মাধ্যমে বেসমেন্টের জল তুলে ফেলা হচ্ছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
হাসপাতাল সূত্রের খবর, বেসমেন্টে ওই ঘরের মেঝেতে প্যাকেটে মোড়া অবস্থায় ওষুধপত্র থাকে। এ ছাড়া থাকে তুলো ও স্যালাইনের বোতল। অভিযোগ, জলে ডুবে রয়েছে সেই সব ওষুধ। যদিও সুপার সৌমাভবাবু দাবি করেছেন, ‘‘বেসমেন্টে জল জমে থাকায় চৌকি পেতে এবং দেওয়ালের তাকে ওষুধ রাখা হচ্ছে। কোনও ওষুধই নষ্ট হয়নি। রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়নি।’’
রবিবার বিকেলে বেসমেন্টের ওই ঘরে ঢুকে দেখা গেল, জল এড়িয়ে হাঁটার জন্য ইট পাতা হয়েছে। তবে জল জমে থাকায় সেখানে হাসপাতালের কোনও কর্মী বসতে পারছেন না। পাশাপাশি এই প্রশ্নও উঠেছে, দীর্ঘ দিন জল জমে থাকায় মশার প্রকোপ বাড়বে না তো? উত্তরে সুপার বলেন, ‘‘আমরা বেসমেন্টে কোনও ভাবেই জল জমতে দিচ্ছি না। তাই মশার বংশবিস্তারেরও কোনও প্রশ্ন নেই।’’