নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ অটো-কাণ্ডে নিগৃহীতা

মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাতের সময় দিলে কাল, সোমবার ওই মহিলা এবং তাঁর ছেলে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যেতে পারেন। সেখানে নিজের নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের কথাই রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীর কাছে তুলে ধরবেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৫২
Share:

অভিযুক্ত অটোচালক। ফাইল চিত্র।

তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নেতাজিনগরের নিগৃহীতা মহিলা। এ জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চান। শনিবার সকালে তাঁর ছেলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যোগাযোগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাতের সময় দিলে কাল, সোমবার ওই মহিলা এবং তাঁর ছেলে
কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যেতে পারেন। সেখানে নিজের নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের কথাই রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীর কাছে তুলে ধরবেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার নিরাপত্তার কথা ভেবে গড়িয়ায় কামডহরিতে ইতিমধ্যে তাঁর বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশি ব্যবস্থায় খুশি হলেও আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি নিগৃহীতার। তিনি বলছেন, ‘‘পথেঘাটে বেরোলে আমায় কে নিরাপত্তা দেবে?’’ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হলেও অভিযুক্ত কী ভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাঁর মনে। তদন্তে কোনও গাফিলতির জেরেই জামিন মিলল কি না, প্রশ্ন তুলছেন নিগৃহীতা। যদিও পুলিশের দাবি, তদন্তে কোনও গাফিলতি
করা হয়নি।

বুধবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বছর পঞ্চাশের ওই মহিলা ছেলের সঙ্গে জুতো কিনতে বেরিয়েছিলেন। এন এস সি রোডের ঊষা মোড় থেকে গড়িয়া যাওয়ার জন্য অটোয় ওঠেন তাঁরা। বাঁ পায়ে সমস্যা আছে বলে চালকের পাশের আসনে বসেন তিনি। ছেলে বসেন পিছনের আসনে। অটোতে অন্য যাত্রী ছিলেন না। অভিযোগ, চলন্ত অটোয় ওই চালক তাঁর শরীরের নানা জায়গায় হাত দিয়েছিলেন। গড়িয়া মোড়ে পৌঁছনোর পরেই তিনি চলন্ত অটো থেকে লাফিয়ে নেমে পড়েন। তখনই ঘটনাটি জানাজানি হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অটোচালক ইমান আলি খান ওরফে মামাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং মামলার কেস ডায়েরি তলব করেন। শুক্রবার বিচারক কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেন।

Advertisement

নিগৃহীতার ছেলের বক্তব্য, ঘটনার পর থেকেই অটো ইউনিয়নের সদস্যরা গোলমাল পাকিয়েছিলেন। থানার বাইরে হাজির হয়ে তাঁর মাকে ‘ছিঁড়ে খাওয়ার’ হুমকিও দিয়েছিলেন। সেই চাপেই আদালতে জামিনের বিরোধিতা জোরদার হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, জামিনের বিরোধিতা করা হলেও আদালত কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখে নির্দেশ দিয়েছে। তবে ইতিমধ্যে নিগৃহীতার গোপন জবানবন্দিও নথিবদ্ধ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তা আদালতে পেশ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন