Crime

বাটামের ঘায়ে মৃত্যু আহতের, গ্রেফতার যুবক

গুরুতর জখম অবস্থায় অনিল সিংহ নামে ওই ব্যক্তিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২০ ০২:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি

রাতে ঘুমোনোর আগে এক বোতল জল এনে রেখেছিলেন এক ব্যক্তি। সেখানে হাজির হয়ে অন্য এক যুবক সেই জল খেয়ে নেন। কেন না-বলেই জল খেয়ে নেওয়া হল, এই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ করেন ওই ব্যক্তি। এমনকি, ওই যুবককে তিনি গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে শুরু হয় দু’জনের বচসা। আচমকাই যুবকটি পড়ে থাকা একটি কাঠের বাটাম নিয়ে এসে ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাত করে। তার পরে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জোড়াবাগান থানা এলাকার মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে। গুরুতর জখম অবস্থায় অনিল সিংহ নামে ওই ব্যক্তিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাধু যাদবকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছিল। ব্যাঙ্কশাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দীপনারায়ণ পাকড়াশি জানান, মঙ্গলবার ধৃতকে খুনের চেষ্টার মামলায় আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্ত তাকে ১৬ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তদন্তকারীরা জানান, আদালতের ওই নির্দেশের কিছু পরেই জানা যায়, গুরুতর জখম অনিলের মৃত্যু হয়েছে। তাই খুনের চেষ্টার ধারার বদলে অভিযুক্ত সাধুর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর ধারা আনা হয়েছে।

ওই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকে জানিয়েছেন, অনিল তাঁর সঙ্গে জোড়াবাগান এলাকায় মোটবাহকের কাজ করতেন। মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে একটি বাড়ির চাতালে থাকতেন তাঁরা। রবিবার রাতের খাওয়া শেষ করে এক বোতল জল নিয়ে আসেন অনিল। সে সময়ে সেখানে এসে উপস্থিত হয় কুমোরটুলি পার্ক এলাকার বাসিন্দা সাধু। সে-ও মুটের কাজ করত। ওই প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, সাধু জিজ্ঞাসা না করেই জল খেয়ে নিলে বচসা শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। বচসা চলাকালীনই কাঠের বাটাম দিয়ে অনিলের মাথায় আঘাত করে সাধু।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে পোস্তা এলাকা থেকে সাধুকে গ্রেফতার করা হয়। এক তদন্তকারী অফিসারের দাবি, ধৃত ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। জেরা করে বাটামটিও উদ্ধার হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement