আবারও টাকা নিয়ে ভর্তিতে অভিযুক্ত টিএমসিপি

ফের টাকার বিনিময়ে কলেজে ভর্তি করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। এ বার শ্যামাপ্রসাদ কলেজে। পুলিশের কাছে মঙ্গলবার রাতে এক ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, শ্যামাপ্রসাদ কলেজে কলা বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা চান কলেজেরই দুই নেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৪ ০১:৫৮
Share:

ফের টাকার বিনিময়ে কলেজে ভর্তি করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। এ বার শ্যামাপ্রসাদ কলেজে।

Advertisement

পুলিশের কাছে মঙ্গলবার রাতে এক ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, শ্যামাপ্রসাদ কলেজে কলা বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা চান কলেজেরই দুই নেতা। তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, নম্বর কম থাকায় কোনও কলেজেই পছন্দের বিষয় নিতে পারছিলেন না তিনি। গত ২৭ জুন শ্যামাপ্রসাদ কলেজে কাউন্সেলিং ছিল। তিনি ইতিহাসে অনার্স নেওয়ার জন্য কাউন্সেলিংয়ে যান। তখন কাউন্সেলিং রুমের বাইরে ছিলেন রাহুল ও মিঠুন নামে দুই যুবক। তাঁরা সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মার্কশিট দেখছিলেন।

অভিযোগকারিণী জানান, তাঁর নম্বর দেখে রাহুল ও মিঠুন তাঁকে বসতে বলেন। তার পরে তাঁকে জানান, এত কম নম্বরে ইতিহাস অনার্স পাওয়া যাবে না, তবে ৫০০০ টাকা দিলে কলা বিভাগে পাস কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন তিনি। কথা মতো রাজি হয়ে যান ছাত্রীটি।

Advertisement

ওই ছাত্রী আরও জানান, তাঁর মার্কশিট রাহুল ও মিঠুন রেখে দেন। এর পরে ছাত্রীটি ভর্তি হন। ভর্তির কয়েক দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। ছাত্রীটির অভিযোগ, টাকা চেয়ে মঙ্গলবার ফোন করেন রাহুল ও মিঠুন। ছাত্রীটি কলেজে তাঁদের সঙ্গে দেখা করলে টাকার জন্য রাহুল ও মিঠুন জোর-জবরদস্তি শুরু করেন। ছাত্রীর আরও অভিযোগ, টাকা দিতে না পারলে তাঁদের সঙ্গে মদ্যপানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

এর পরেই ছাত্রীটি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন রাহুল ও মিঠুনের নামে। এ ব্যাপারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। এর সঙ্গে ছাত্র সংগঠন বা দল জড়িত নয়। এমন কাজ আমরা সমর্থন করি না। প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।” বুধবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শ্যামাপ্রসাদ কলেজের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমাকে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কলেজের ছাত্র সংসদের কোনও নেতা বা সদস্য জড়িত নন। আমি বলেছি, তিনি কারওর নাম জানতে পারলে যেন রাজনীতির রং না দেখে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন