এখানেই জল বেরিয়ে তৈরি হয় সমস্যা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি মলের কাছেই রাস্তার একাংশে পাইপ ফেটে মাঝেমধ্যেই তৈরি হয় সমস্যা। বেরিয়ে আসে ভূগর্ভস্থ নিকাশির জল। কলকাতা পুরসভা মাঝেমধ্যে জোড়াতাপ্পি দিয়ে তা থামালেও ক’দিনের মধ্যেই আবার যে-কে-সেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুর-কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো সত্ত্বেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। কারণ, নিকাশি পাইপ না সারালে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু এই সারানোর দায়িত্ব কার তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা।
পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিকাশি লাইনটি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের। নিয়ম অনুসারে তাদেরই সারানোর কথা। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দফতর তা না সারানোয় তৈরি হয়েছে এই সমস্যা। অবস্থার সামাল দিতেই পুরসভা জোড়াতাপ্পি দিয়ে রাস্তা আপাতত সচল রেখেছে। কিন্তু আবার রাস্তায় জল জমে সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েই গিয়েছে।
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের আধিকারিকরাও নিকাশি লাইনের এই ফাটলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তা পুরসভার। তারাই রাস্তাটির রক্ষণাবেক্ষণ করে। কিন্তু রাস্তার যে অংশে জল বেরিয়ে গর্ত হয় সেখানে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের ভূগর্ভস্থ নিকাশির পাইপ রয়েছে। সেই পাইপ লাইনে ফাটল থাকায় জল বেরিয়ে রাস্তা খারাপ হয়।
এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর অন্তর্গত। পুরসভার ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, “আনোয়ার শাহ রোডের এই সমস্যার বিষয়টি জানি। পুরসভা সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি ছাড়া ওই পাইপ লাইন সারাতে পারে না। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর নিজেরা না সারালে পুরসভা যাতে সারাতে পারে সেই বিষয়ে অনুমতি চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।”
মাসখানেক আগে, কলকাতা পুরসভা এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের আধিকারিকরা জায়গাটি যৌথভাবে পরিদর্শন করেন। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের এক বাস্তুকার জানান, পুর-কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু নিকাশির পাইপ মেরামতি করার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তাদের নেই। পুরসভাকেই এই পাইপ মেরামতির জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই কাজের জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা তারাই বহন করবে বলেও এই আধিকারিক জানান। পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা চিঠি পেয়েছেন, এবং তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করা হবে।