বেলেঘাটায় বোমাবাজির ঘটনার তদন্তভার পেয়ে সোমবার রাতে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার গুন্ডাদমন শাখা। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা কাউন্সিলর জীবন সাহার অনুগামী। তবে দুই মূল অভিযুক্ত রাজু নস্কর ও শঙ্কর চক্রবর্তী অধরাই। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১১ জন গ্রেফতার হল।
স্থানীয়েরা জানান, দলের অন্দরে রাজু স্থানীয় তৃণমূল নেতা অলোক দাস ও জীবন সাহা গোষ্ঠীর এবং শঙ্কর বিধায়ক পরেশ পালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরেশ পালের ছত্রছায়ায় প্রোমোটিং শুরু করলেও পরে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় রাজুর। প্রোমোটিং-এর সূত্রে স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এর পরে শুরু হয় সমস্যা। পুলিশ জানায়, শঙ্কর আগে কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল। কিন্তু অভিযোগ, এলাকা দখল নিয়ে রাজুর সঙ্গে বিরোধ হলে শঙ্কর পরেশ পালের ছত্রছায়ায় যায়।
পুলিশ জানায়, বেলেঘাটার একটি জমি নিয়ে গোলমালই বড় আকার নেয় রবিবার। পুলিশ জানায়, প্রোমোটিং ছাড়াও হকার বসানো, শ্রমিক সরবরাহ-সহ এলাকা দখল নিয়ে দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। এক পুলিশকর্তা জানান, দল নিয়ন্ত্রণ না করলে বেলেঘাটায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব সামলানো সম্ভব নয়।
বিধায়ক পরেশ পাল মঙ্গলবারও এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জীবন সাহা এ দিনও জানান, তাঁর কোনও লোকজন এই ঘটনায় জড়িত নন।