স্মার্টগেট কম, ভোগান্তি মেট্রোর নিত্যযাত্রীদের

কোথাও স্মার্টগেট খারাপ, কোথাও বা গেটের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। অভিযোগ, এর জেরে নিত্য ভোগান্তি হচ্ছে মেট্রোরেলের যাত্রীদের। যেমন, কালীঘাট, চাঁদনি এবং সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন। এই চত্বরে অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং দোকান থাকায় ব্যস্ত সময়ে দু’টি স্টেশনে যাত্রীচাপ বেশি থাকে।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:১৮
Share:

সংখ্যা বাড়েনি স্মার্টগেটের। —নিজস্ব চিত্র

কোথাও স্মার্টগেট খারাপ, কোথাও বা গেটের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। অভিযোগ, এর জেরে নিত্য ভোগান্তি হচ্ছে মেট্রোরেলের যাত্রীদের।

Advertisement

যেমন, কালীঘাট, চাঁদনি এবং সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন। এই চত্বরে অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং দোকান থাকায় ব্যস্ত সময়ে দু’টি স্টেশনে যাত্রীচাপ বেশি থাকে। কিন্তু স্মার্টগেটের সংখ্যা কম থাকায় বড় লাইন পড়ে যায়। দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অধৈর্য হয়ে যান যাত্রীরা। অবস্থা আরও খারাপ হয় যদি কোনও স্মার্টগেট বিকল হয়ে যায়। সময় মতো কর্মস্থলে পৌঁছতে সকলেরই তাড়া থাকে। ফলে সহজেই অসহিষ্ণু হয়ে পরিস্থিতি প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয় বলে জানালেন মেট্রোরেলের এক কর্মী। সকালের দিকে রোজই এই অবস্থা হয় বলে দাবি নিত্যযাত্রীদের।

দমদম মেট্রো স্টেশনেও প্রায় একই অবস্থা হয়। এখানে আবার পাশেই রয়েছে ইস্টার্ন রেলের স্টেশন। ফলে যাত্রী এমনিতেই বেশি। ফলে স্মার্টগেটের সামনে প্রায়ই লম্বা লাইন পড়ে। সব গেট খোলা না থাকলে দুর্বিষহ পরিস্থিতি হয়। এ নিয়ে যাত্রীবিক্ষোভ, ভাঙচুরও হয়েছে। তবু পরিস্থিতি যে-কে-সেই। সেন্ট্রাল স্টেশনেও এই অবস্থা হয়।

Advertisement

অভিযোগ, শুধু চাঁদনি চক, সেন্ট্রাল বা দমদম স্টেশনই নয় আরও কয়েকটি স্টেশনেও স্মার্টগেটের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। নিত্যযাত্রীদের দাবি, অবিলম্বে স্মার্টগেটের সংখ্যা বাড়ানো হোক। পাশপাশি স্মার্টগেটগুলি যাতে সচল থাকে সে দিকেও নজর দেওয়া হোক। এই নিয়ে ২০১১-এ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দেন ‘দমদম ইস্টার্ন ও মেট্রো রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন’। তাঁদের দাবির সঙ্গে সহমত হয়ে মেট্রোর তরফে চিঠিও দেওয়া হয় বলে তাঁরা জানান। কিন্তু তার পরেও প্রায় চার বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু কিছুই হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। তা ছাড়া কয়েকটি ক্ষেত্রে স্টেশনের সিঁড়ি এত সঙ্কীর্ণ যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এক নিত্যযাত্রী বলেন, “চাঁদনি চকে এক সময় দু’টি ট্রেন চলে এলেই এই কাণ্ড হয়। অথচ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয় না।”

প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুজিতকুমার সাধ্য বলেন, “স্মার্টগেটের সংখ্যা অবিলম্বে বাড়াতে হবে। মেট্রোর ভাড়া বাড়ার পরে স্মার্টগেট বাড়বে, পরিষেবার উন্নতি হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু কিছুই হয়নি।” মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। মেট্রোর তরফে কোনও চিঠি দেওয়া হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন