সংযোজিত এলাকার নিকাশি সংস্কারে সাহায্য করবে বেসু

জোকা এলাকা কলকাতা পুরসভার সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ঘাটতি থেকে গিয়েছে নিকাশি পরিষেবার। অভাব রয়েছে পরিকাঠামোরও। ফলে অসুবিধায় পড়ছেন এলাকার বাসিন্দারাই। অবশেষে পরিকাঠামো ঠিক করতে কলকাতা পুরসভা ‘ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র (পূর্বতন বেসু) দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুরকর্তৃপক্ষ।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৫২
Share:

জোকা এলাকা কলকাতা পুরসভার সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ঘাটতি থেকে গিয়েছে নিকাশি পরিষেবার। অভাব রয়েছে পরিকাঠামোরও। ফলে অসুবিধায় পড়ছেন এলাকার বাসিন্দারাই। অবশেষে পরিকাঠামো ঠিক করতে কলকাতা পুরসভা ‘ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র (পূর্বতন বেসু) দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুরকর্তৃপক্ষ।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার সর্বাঙ্গীন উন্নতিকল্পে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এখনও কাজ শুরু করা হয়নি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কিছু আলোচনা করা প্রয়োজন। তার পরেই সামগ্রিক ভাবে কাজ শুরু হবে।”

জোকা এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ কলকাতা পুরসভার সঙ্গে সংযোজিত হওয়ায় ১৪২, ১৪৩ এবং ১৪৪ এই তিনটি নতুন ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে। এই এলাকাটির আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার। অথচ এই অঞ্চলে নিকাশির কোনও পরিকাঠামো নেই। অতীতে পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত এই এলাকায় নিকাশির জল বিভিন্ন নালা দিয়ে মূলত আশপাশের খালে পড়ে। নির্দিষ্ট কোনও পাইপ বা নিকাশির ব্যবস্থা না থাকার ফলে নানা এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়।

Advertisement

পুরসভার এক আধিকারিক জানান, এখানে যে সব বাড়ি রয়েছে সেই সব বাড়ির নিকাশি নালাও খালের সঙ্গেই যুক্ত। তবে তার সংখ্যা বেশি নয়। এই অবস্থায় পুরসভা আশপাশের খাল পরিষ্কার করেছে। কিছু কিছু বাড়িতে যেখানে নিকাশির সমস্যা আছে সেগুলিও ঠিক করা হয়েছে বলে পুরসভার নিকাশি দফতরের দাবি।

এলাকার বাসিন্দা নবীন প্রামাণিক বলেন, “পুর পরিষেবার সব বিষয়েই ঘাটতি রয়েছে। তবে, নিকাশির অবস্থা বেশি খারাপ। এলাকায় একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। তখন জল নামতে সময় লাগে। পুরকর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”

পুরসভা সূত্রে খবর, এই এলাকা নিকাশির সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন-এর (জেএনএনইউআরএম) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে কোনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। অন্য দিকে, নিকাশির পরিকাঠামো কী হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনাও করা যায়নি। সেই কারণেই বহিরাগত সংস্থাকে দিয়ে এলাকার নিকাশির সামগ্রিক সমীক্ষা করে এই কাজ করা হবে।

নিকাশি দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিক ভাবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে তাতে পরিকাঠামোর সামগ্রিক পরিকল্পনা দ্রুত করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। তার পরেই শুরু হবে কাজ। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পুরকর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলে নিকাশি প্রকল্পের সংস্কার শুরু করবে বলে তাঁদের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement