জমি অমিল, সম্প্রসারণ স্তব্ধ জোড়া স্থলবন্দরে

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বক্তব্য, যদি রাজ্য সরকার জমি দিতে না-পারে, দিল্লি ওই বন্দর দু’টির সম্প্রসারণ নিয়ে বাড়তি আগ্রহ দেখাবে না। তাতে কেন্দ্রের রাজস্ব-ক্ষতি হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে জয়গাঁও এবং চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরের উন্নয়নে সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দু’টি স্থলবন্দরেরই পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। জমি মিলছে না বলে অভিযোগ তুলেছে দিল্লি। আর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের বক্তব্য, দু’টি বন্দরের উন্নয়নে প্রায় ২০০ একর জমি দরকার, যা জোগাড় করা বেশ মুশকিল। রাজ্য এই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বক্তব্য, যদি রাজ্য সরকার জমি দিতে না-পারে, দিল্লি ওই বন্দর দু’টির সম্প্রসারণ নিয়ে বাড়তি আগ্রহ দেখাবে না। তাতে কেন্দ্রের রাজস্ব-ক্ষতি হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়লে রাজ্যেরও যে-আর্থিক লাভ এবং কর্মসংস্থান হত, এ ক্ষেত্রে তা হবে না।

নবান্ন সূত্রের খবর, জয়গাঁও স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারত-ভুটান, ভারত-বাংলাদেশ এবং ভুটান-বাংলাদেশ বাণিজ্য অনেকটা নির্ভরশীল। জয়গাঁও দিয়েই ভারতের সমস্ত পণ্য ভুটানে পৌঁছয়, ভুটানের সামগ্রী বাংলাদেশে যায় এবং ভারতে আসে। কিন্তু স্থানাভাবে এই বন্দরে দীর্ঘ ক্ষণ তিন দেশের লরি এবং অন্যান্য যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হয়। কেন্দ্র প্রায় ১৫০ একর জমিতে স্থলবন্দরটির পরিকাঠামো বাড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছর পরেও সেই জমি হাতে পায়নি দিল্লি। ফলে পুরো প্রকল্পটিই আটকে রয়েছে।

Advertisement

প্রায় একই পরিস্থিতি চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরের। ওখানেও সম্প্রসারণের জন্য জমি প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্য সরকারের তা নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই বলে কেন্দ্রের অভিযোগ। পেট্রাপোলের পরিকাঠামো অবশ্য সম্প্রসারিত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই সময় জমি পেতে সাহায্য করা হয়েছিল। কিন্তু জমি না-মিললে বাংলার স্থলবন্দরগুলি নিয়ে কেন্দ্র আর বিশেষ উদ্যোগ দেখাবে না বলেই জানান মন্ত্রকের এক কর্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন