SSC recruitment scam

Bikash Ranjan Bhattacharya: বিচারালয়ের উপর আস্থা ফিরিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, মনে করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

অতীতে বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার ‘উদাহরণ’ দিয়ে বিকাশের দাবি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম সেই ‘নিয়মের’ ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২২ ০৯:৩২
Share:

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।

আদালত এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরছে রাজ্যের সাধারণ মানুষের। আর তার কৃতিত্ব অনেকাংশে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বলে মনে করেন সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করে শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনে ‘অ-জানা কথা’য় বিকাশের দাবি, তাঁর (বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়) সক্রিয়তা দেখে অন্য বিচারপতিরাও বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন।

Advertisement

বিকাশ বলেন, ‘‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব প্রথমেই। তিনিই প্রথম বলটা বাউন্ডারি লাইনে পাঠিয়েছেন। এখন সবাই বুঝতে পারছে এই বলটা বাউন্ডারি করা যায়। এবং বিচারপতিরা দেখলেন এই রকম দুর্নীতি পশ্চিমবঙ্গে ইতিপূর্বে কেউ কল্পনা করতে পারতেন না।’’

অতীতে বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার ‘উদাহরণ’ দিয়ে বিকাশের দাবি, এসএসসি এবং টেটে নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম সেই ‘নিয়মের’ ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সেই ধারণাটা (বিচারবিভাগের দীর্ঘসূত্রিকা সম্পর্কিত) ভেঙে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি যে মুহূর্তে দুর্নীতি দেখেছেন, সঙ্গে সঙ্গে কড়া ভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’’

Advertisement

এসএসসি এবং টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আইনি পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বিচারবিভাগের এই সক্রিয় ভূমিকায় তাঁর নিজের তেমন কোনও কৃতিত্ব নেই বলে মনে করেন বিকাশ। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে এ কৃতিত্ব তাঁদের, যাঁরা মেধা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি এবং নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বুঝতে পারার পরে সাহস করে এ বিষয়ে আদালতে গিয়েছেন।’’ সেই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আদালতের যে জুনিয়র আইনজীবীরা বহু সময় ব্যয় করে বহু শ্রম দিয়ে মামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন, তাঁদেরও কৃতিত্ব দিয়েছেন বিকাশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন