অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
তিনি নেই। কিন্তু বুধবার নবদ্বীপে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার মঞ্চ জুড়ে ছড়িয়ে থাকলেন তিনি।
মঞ্চে বিশাল ছবি থেকে শুরু করে নেতাদের বক্তব্যে বারবার উঠে এল তাঁর নাম— তিনি কৃষ্ণগঞ্জের নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। বুধবার বিকেলে নবদ্বীপের চটির মাঠে গোটা সভাই যেন বারবার বুঝিয়ে দিল মতুয়া যুবনেতা তথা বিধায়ক সত্যজিতের অকালমৃত্যুকে সামনে রেখে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে তৃণমূল।
সেই জনসভায় অভিষেক থেকে শুরু করে জেলা নেতারা সকলেই বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেও ভোট চাওয়ার আর্জির মধ্যেই ছিল সত্যজিৎ নিয়ে আবেগ, সেই সত্যজিৎ যাঁকে সরস্বতী পুজোর আগের দিন যাঁকে গুলি করে খুন করা হয় এবং যাঁর স্ত্রী রূপালী বিশ্বাসকে কার্যত ঘর থেকে বের করে এনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অভিষেকও তাঁর বক্তৃতায় দাবি করেন, ‘‘সত্যজিৎ খুনের পিছনে বড় মাথা আছে। সেই মাথা যেখানেই থাক তাকে কলার ধরে টেনে আনা হবে।’’ তবে এসবের মাঝে তিনি তীব্র ভাষায় সেই সঙ্গেও সেনাদের নামে ভোট চাওয়া থেকে শুরু করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, গ্যাসের দাম বাড়া, নোট বাতিল, জিএসটি-সহ নানা বিষয়ে মোদীকে আক্রমণ করেন তিনি। আক্রমণ করেন জাতীয় নাগরিক পঞ্জির কথা তুলেও। বিজেপি গত পাঁচ বছরে হিন্দুদের জন্য কোনও কাজ করেনি বলেও তিনি এ দিন দাবি করেছেন।
নবদ্বীপ শহরের চটির মাঠে এই জনসভায় অভিষেকই ছিলেন প্রধান বক্তা। দুপুরের ঠা-ঠা রোদে প্রথম দিকে তেমন লোক না হলেও পরে ভিড় বাড়তে শুরু করে। অভিষেকের আগে বলতে উঠে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত থেকে শুরু করে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, রত্না ঘোষ কর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডুরা বারবার টেনে আনেন সত্যজিৎ খুনের প্রসঙ্গ। রূপালীও স্বামীর একই কথা তুলে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান।
সত্যজিৎ ছাড়া আরও এক জনের কথা বারবার ফিরে এসেছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মুখে। তিনি নবদ্বীপের দীর্ঘদিনের নেতা তথা বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ ওরফে নন্দ সাহা। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি অসুস্থ, কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। নন্দ সাহা ছাড়া নবদ্বীপে ভোটের জনসভা হচ্ছে, এটা এখনও যেন কেউ মেনেই নিতে পারেননি।