তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। দলে কার্যত মমতার পরই তাঁর গুরুত্ব।
চলতি বছরে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা রেখেছেন তাঁর উপরে। জনসভায় প্রচারও করছেন তাঁর হয়ে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি কোথায়, তার বর্তমান বাজারদর কত? কোন মডেলের কতগুলি গাড়ি চড়েন? ব্যাঙ্কে জমা টাকার পরিমাণ কী? নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে এই সব সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’(এডিআর) ও পশ্চিমবঙ্গ ইলেকশন ওয়াচ যৌথ রিপোর্ট বলেছে, এই পাঁচ বছরে সপ্তম দফা প্রার্থীদের মধ্যে আয় বৃদ্ধির হার সব থেকে বেশি অভিষেকের।
আগের বার ভোটে দায়ের করা হলফনামায় জমা দেওয়া আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তাঁর মোট বার্ষিক আয় ছিল ৭৩.৯৮ লক্ষ টাকা। এ বার আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী অভিষেক বাবুর মোট বার্ষিক আয় দু’কোটি ২৭ লক্ষ টাকা।
শতাংশের হিসাবে বৃদ্ধির হার প্রায় ২০৬। তবে তাঁর হলফনামা বলছে, এই পাঁচ বছরে তাঁর সম্পদ কমেছে প্রায় নয় শতাংশ।
হলফনামায় অভিষেক জানিয়েছেন, তাঁর হাতে এই মুহূর্তে নগদের পরিমাণ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা এবং স্ত্রী রুজিরা নারুলার কাছে রয়েছে ৮৭ হাজার ৩০০ টাকা।
অভিষেকের নামে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে ৬৯ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৩৯.৪৫ টাকা এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ১২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬১৫ টাকা।
অভিষেক বা তাঁর স্ত্রীর নামে কোনও স্থাবর সম্পত্তি নেই। তাঁর বা তাঁর স্ত্রীর নামে কোনও গাড়ি নেই, হলফনামায় জানিয়েছেন অভিষেক।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি জানিয়েছেন, এমবিএ পাশ করেছেন অভিষেক।
অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীর কাছে ৩০ গ্রাম সোনা (৯৬ হাজার টাকা প্রায়), ৪০ গ্রাম রূপো (১৫০০ টাকা প্রায়) এবং ৬৫৮ গ্রাম সোনা, ২.৩ কেজি রূপো এবং মূল্যবান রত্ন (২২ লক্ষ টাকা)।
ব্যাঙ্কের কাছে অভিষেক বা তাঁর স্ত্রীর কোনও ঋণ নেই। কোনও রকম অপরাধমূলক মামলাও নেই তাঁদের নামে।