এ বার ভোটে ধূপকাঠির নিদান অনুব্রতর

এ বারের ভোটে ধূপকাঠি ব্যবহারের সওয়াল করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর ও নানুর শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ১০:২১
Share:

নির্দেশ: ভোটের প্রচারসভায় জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র

একের পর এক নিদান দিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। বহুচর্চিত গুড়-জল, ছোট-বড় সিরিঞ্জ, নকুলদানার দাওয়াই পিছনে ফেলে এ বারের ভোটে ধূপকাঠি ব্যবহারের সওয়াল করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে কাকে, কখন কী কারণে ধূপকাঠি দেখানো হবে তা অবশ্য খোলসা করেননি। কিন্তু, কথার ইঙ্গিত বুঝে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে চলেছে বিরোধীরা।

Advertisement

এ দিনের প্রথম সভা ছিল বোলপুরে। বৃহস্পতিবার ডাকবাংলো ময়দানে তৃণমূলের প্রকাশ্য জনসভায় শলকা (শলাকা?) হাতে নিয়ে বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেন কর্মীদের। অনুব্রতর কথায়, ‘‘শলকা দেখিয়েই ভোট করে নেবেন। কী রাখতে হবে তা আপনারা ভাল জানেন আমার থেকে।’’ পরে নানুরের খুজুটিপাড়া বাসস্ট্যান্ড জনসভা করেন অনুব্রত। সেই সভা শেষে অনুব্রত বলেন, ‘‘নকুলদানা ভোটের দিন সকালেই বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাবে। আর ধূপকাঠি বুথ থেকে অনেক দূরে থাকবে। কারণ, বুথ তো পবিত্র জায়গা। কখন, কী কারণে ধূপকাঠির ব্যবহার হবে তার ব্যাখ্যা ৩০ তারিখে দেব।’’

এমন মন্তব্যে রহস্যের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বিরোধী দলের নেতারা। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোমের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ সব প্ররোচনা মূলক বক্তব্য। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুব্রত মণ্ডলের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ জানাব।’’ বীরভূম জেলা বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ভোটের দিন যদি তৃণমূল কর্মীরা ওই সব কাঠি-ফাটি নিয়ে বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে তা হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন সাধারণ মানুষই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বোলপুরের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদীর নাম করেও আক্রমণ শানিয়েছেন। অনুব্রতের কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজেকে চৌকিদার বলেন, অথচ তিনিই সব থেকে বড় চোর।’’ সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোমকে কটাক্ষ করে অনুব্রত বলেন, ‘‘যদি আবার জিততে পারেন, এই আশায় আবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন রামচন্দ্র ডোম। চ্যালেজ্ঞ করলাম ৬ লক্ষ ভোটে হারাব।’’ অনুব্রত মনে করেন জেলার মাটিতে তৃণমূলের জেতাটা কোনও বিষয় নয়, ব্যবধান বাড়ানোই লক্ষ্য। বুধবারের রামপুরহাটের সভার মতোই অনুব্রত নেতাকর্মীদের মনে করিয়েছেন, বীরভূম আসন থেকে যেন ১২ লক্ষ ভোট আসে দলের ঝুলিতে।

এ দিন নানুর ও বোলপুর— দুই সভাতেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী সহ জেলার অন্য নেতারা। নানুরের সভায় চারটি অঞ্চল থেকে হাজার দশেক লোক হাজির হন বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য লোক আরও বেশি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন