general-election-2019-journalist

বাইরে এক লড়াই, আবডালে আর এক, উপসর্গ স্পষ্ট পুরুলিয়া জুড়ে

‘‘যে লোকগুলো শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার তাগিদে এক সময়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিতে পেরেছিল, তাদের কি সাহসের ঘাটতি রয়েছে বলে আপনার মনে হয়?’’

Advertisement

ঈশানদেব চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৯ ২১:৪০
Share:

তৃণমূলের দেওয়াল লিখনের উপরে এই স্লোগান কারা লিখল? সবাই বলেন 'জানি না'| -নিজস্ব চিত্র

হিলটপে ভাতের হোটেল চালাচ্ছেন অনিল মুড়া। মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হওয়ার পরে পর্যটন লাটে উঠে গিয়েছিল যেখানে, সেই অযোধ্যা পাহাড় গত বেশ কয়েকটা বছর ধরে আবার পূর্ণ ছন্দে। অতএব অনিল মুড়ার গুমটি হোটেলেও খদ্দেরের অভাব নেই। একে পাহাড়, তায় জঙ্গল— নির্যস মোটা চালের ভাতও তাই দেদার বিকোচ্ছে শহুরে বাবুদের সখের কৃচ্ছ্র সার্থক করতে। পড়ন্ত দুপুর। আপ্যায়নের পালা সে বেলার মতো গোটাতে গোটাতে অনিল অকপটে জানাচ্ছেন, তিনি তৃণমূল করেন।

Advertisement

তৃণমূল কি ঠুড়গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা করছে? ‘‘করছে আর কই? করলে তো জঙ্গলটা বেঁচে যেত,’’—আক্ষেপ তৃণমূল সমর্থকের গলায়। কিন্তু সিরকাবাদ থেকে পাহাড়ে ওঠার পথে যত গ্রাম, তার সবেতেই তো তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে ঠুড়গা প্রকল্পের বিরোধিতা! এ কথা শুনে কৌতুক বোধ করলেন অনিল। অল্প একটু হেসে নিয়ে ভুলটা ভাঙিয়ে দিলেন, ‘‘ওগুলো তৃণমূল লেখেনি। তৃণমূলের দেওয়াল লিখনের উপরে অন্য কেউ ওগুলো লিখে দিয়েছে। যেখানে তৃণমূল দেওয়াল লিখেছে, সেখানেই ওরা এই রকম করেছে।’’ ‘ওরা’ কারা? বিজেপি? কংগ্রেস? ফরওয়ার্ড ব্লক? ‘‘না না, তারা লিখবে কেন? তারা কেউ তো ঠুড়গা প্রকল্পের বিরোধী নয়। সবাই তো চাইছে ড্যাম হোক।’’ তা হলে ‘ওরা’ মানে কারা? অনিল মুড়া এ বার একটু সতর্ক। ‘‘কারা যে লিখে দিয়ে গেল, বুঝতেই পারছি না।’’

গ্রামের পর গ্রামে একই ছবি। ‘‘ঠুড়গা কাঁদে, বাঁদু কাঁদে, কাঁদে কাঁঠালজল/ এ বার কাঁদবে অযোধ্যাবাসী, ঝরবে চোখের জল’’ অথবা ‘‘চাই না, চাই না/ ঠুড়গা প্রকল্প চাই না’’— তৃণমূলের দেওয়াল লিখনের উপরে কারা লিখে দিয়েছেন সাদা রঙে।

Advertisement

ঠুড়গা প্রকল্পের বিরোধিতা অনেক দিন ধরেই চলছে পুরুলিয়ায়। কোনও মূল ধারার রাজনৈতিক দল সে আন্দোলনে নেই। কিন্তু ঠুড়গার জলাধারের জন্য কত গাছ কাটা হচ্ছে, অযোধ্যা বনভূমির কতখানি অংশ চিরতরে ডুবিয়ে দেবে এই প্রকল্প, সে সব কথা এলাকাবাসীর মুখে মুখে ফিরছে। হিলটপের সরকারি অতিথি নিবাসের কর্মীও বলছেন, ‘‘যে জঙ্গলটা চলে যাবে, সেটা তো আমরা আর কখনও ফিরে পাব না। এ ভাবে জঙ্গল কমতে থাকলে কী করে চলবে বলুন। জঙ্গলই তো এখানকার মানুষের জীবন।’’

কথা শুনলে স্পষ্ট বোঝা যায়, প্রকল্পের খুঁটিনাটি এবং তার বিরোধিতার কারণ নিয়ে নিয়মিত চর্চা রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইন্টারনেটে বা ইউটিউবে খুঁজলেই যে সব ঠুড়গা আন্দোলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও জানিয়ে দিচ্ছে নগরসভ্যতা থেকে বহু দূরে বাস করা এই বনবাসী জনগোষ্ঠী। শুধুমাত্র উত্তর মিলছে না একটা প্রশ্নের— দেওয়ালে দেওয়ালে এই স্লোগানগুলো কারা লিখলেন? এটা নাকি কারও ‘জানা নেই’ গোটা এলাকায়।

জামটাঁড় গ্রামে খুপরি ঘরের সামনে বসে নাম না জানা বাদ্যযন্ত্র সারাচ্ছিলেন মুকুল মুর্মু। সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাননি? ‘‘না।’’ কাজ পান, একশো দিনের কাজ? ‘‘না।’’ সরকারি সাহায্য কিছুই পান না? ‘‘ওই চাল আর আটা পাই, কম দামে।’’ কেন এই হাল? গ্রামে অন্যরা পাচ্ছেন? মুকুল মুর্মু আর কথা বাড়াতে চান না। বলেন রাস্তা ধরে খানিকটা এগিয়ে যেতে। সেখানে ছাতিম গাছের নীচে গুমটি দোকানঘর রয়েছে, তীর্য মাহাতকে পাওয়া যাবে, যা বলার তিনিই বলবেন। তীর্য মাহাত কে? পঞ্চায়েত সদস্য? ‘‘না, ও-ই আমাদের নেতা।’’ কোন দলের নেতা? ‘‘আপনি যান না, গেলেই বুঝতে পারবেন।’’

এই তীর্য মাহাতই গ্রামের 'নেতা', বলছেন মুকুল মুর্মুরা। কিন্তু কোন দলের নেতা? মুখ খোলেন না কেউ।

পথনির্দেশ মেনে দোকানঘর খুঁজে পেতে অসুবিধা হল না। মাটির নিচু দাওয়া, মাটির দেওয়াল, খোলার ছাউনি। চা পাওয়া যায়। গজা, লাড্ডুও। তীর্য নেই। দোকানে একা বসে থাকতে থাকতে তন্দ্রাচ্ছন্ন তাঁর স্ত্রী। অপরিচিত কণ্ঠস্বর এবং উচ্চারণ শুনে চমকে সজাগ হলেন। একটু ধাতস্থ হওয়ার পরে বসতে বললেন। জানালেন, পিছনের পুকুরে স্নানে গিয়েছেন তীর্য, এসে পড়বেন এখনই। কিন্তু ফেরার পরে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলতে চাইলেন না তীর্য মাহাত। পুকুর পাড়ের দিকেই নিয়ে গেলেন। ঝোপের মতো একটা তালগাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘কী জানতে চান বলুন।’’ গ্রামের ‘বঞ্চনা’র কাহিনি বিশদে শোনাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। বছরে একটা ফসলের উপরে নির্ভর করে যে পেট চালাতে হয়, গত পাঁচ-সাত বছরে নিজের গ্রামে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে একটা রাস্তা ছাড়া আর কিছুই যে হতে দেখেননি, সবই রয়ে-সয়ে জানালেন। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত নন বলে দাবি করলেন। কিন্তু তাঁকে কেন অনেকেই ‘নেতা’ হিসেবে মানছেন, সে প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই দিলেন না।

গোটা পুরুলিয়া জেলায় রাস্তার দু'ধারে রামনবমী উপলক্ষে বজরং দলের লাগানো এই সব ঝাণ্ডার দাপট।

জামটাঁড়ে বিজেপি জিতেছে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে। আরও খানিক এগিয়ে গেলে কুশটাঁড়। সে গ্রামে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায়ী তপন হাজরা বললেন, ‘‘আমাদের গ্রামেও বিজেপি। কিন্তু বোর্ড গড়তে পারেনি। বোর্ড গড়ার আগেই তৃণমূল সব ভাঙিয়ে নিয়েছে। ওই জামটাঁড়ে বিজেপি থেকে যিনি জিতেছিলেন, তিনিই তৃণমূলে গিয়ে প্রধান হয়েছেন।’’ তা হলে এ বারের ভোটে নিশ্চয়ই বিজেপির তো আর খুব একটা সম্ভাবনা নেই? দোকানের সামনের উঠোনটার দিকে তাকিয়ে একটু চুপ করে থাকেন তপন হাজরা। তার পর অর্থবহ মুচকি হাসি নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন, ‘‘মেম্বাররা দল বদলেছেন মানে কি ভোটাররাও তাই করেছেন?’’

তপন হাজরার এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে খুব কষ্ট করতে হয় না। পারা, পুরুলিয়া-২, পুরুলিয়া-১, আড়ষা, বলরামপুর, বাঘমুন্ডি, ঝালদা-১, ঝালদা-২— একের পর এক ব্লকে রাস্তার দু’ধার ছেয়ে গিয়েছে ছোট-বড়-মাঝারি মাপের তেকোনা ঝান্ডায়। রামনবমী উপলক্ষে লাগানো হয়েছে বজরং দলের তরফ থেকে। গাড়িতে, বাইকে, অটোয়, টোটোয়, এমনকি সাইকেলেও উড়ছে সে ঝান্ডা। কয়েক কিলোমিটার অন্তর চোখে পড়ছে হনুমানের মূর্তি সম্বলিত বেদী বা মন্দির। অধিকাংশই গত কয়েক বছরে গজিয়ে ওঠা। পঞ্চায়েতের বোর্ড যতই দখলে থাক, বজরং দলের এই ঘরে ঘরে ঢুকে পড়া কি তৃণমূলকে আদৌ স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে?

জেলা পার্টি অফিসে বসে হাসলেন শান্তিরাম মাহাত। ‘‘রামনবমীর ঝান্ডা দেখে কিছু আন্দাজ করবেন না। ওটা পুরুলিয়ায় এখন সব দলের সমর্থকরাই পালন করেন,’’— বললেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী। পঞ্চায়েতে বেশ কিছু আসন জিতেও প্রায় কোথাওই বোর্ড গড়তে না পারায় বিজেপির কোমর ভেঙে গিয়েছে বলে দাবি করলেন তিনি। কিন্তু বোর্ডের দখল নেওয়ার পরেও কি জেলার নানা প্রান্তে ক্ষোভ-বিক্ষোভ মেটাতে পেরেছে তৃণমূল? একশো দিনের কাজ বা অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে না বলে তো এখনও শোনা যাচ্ছে। শান্তিরাম শান্ত ভঙ্গিতে বলেন, ‘‘অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য নয়। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। সেগুলোও আমরা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’’

চেষ্টা তিনি সত্যিই করছেন। তৃণমূলের প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাত। কিন্তু তাঁর চেয়েও বেশি পরিশ্রম করছেন শান্তিরাম। গোটা জেলা থেকে পদাধিকারীদের ডেকে পাঠিয়ে জেলা দফতরে বসে প্রচারের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা, কোথায় কোথায় সংগঠনে অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে খুঁজে নেওয়া, ধরে ধরে এক একটা এলাকার জট ছাড়ানো, ক্ষোভ-বিক্ষোভের আঁচ নিভিয়ে ফেলার বন্দোবস্ত করা— অক্লান্ত ধৈর্যে প্রায় একা সামলাচ্ছেন শান্তিরাম। ঠান্ডা মাথায় সামলাচ্ছেন। কিন্তু নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র বলরামপুর সে সবের পরেও তাঁকে চিন্তায় রাখছে। চিন্তার রেখা অবশ্য চোখেমুখে ফুটতে দিচ্ছেন না জেলা তৃণমূলের সভাপতি। বলছেন, ‘‘দেখুন বলরামপুরে এক সময়ে লোকে সিপিএম করতেন। তার পর অনেকে মাওবাদী হয়ে গেলেন। সিপিএমের উপরে রাগ থেকেই কিন্তু ওটা হয়েছিল। পরে সবাই তৃণমূল হলেন। তার পরে ওখানে আমাদের স্থানীয় কিছু নেতার আচরণ মানুষের ভাল লাগেনি। তাই অনেকে বিজেপি হয়ে গেছিলেন।’’ পুরুলিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতর দিকেই যে শান্তিরাম ইঙ্গিতটা করলেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু শান্তিরামের দাবি, ‘‘এখন সব ঠিক আছে।’’

শান্তিরাম যতই বলুন, ‘সব ঠিক আছে’, গেরুয়া শিবিরে উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। অনেক দেরিতে নাম ঘোষণা হয়েছে প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতর। তাতেও দেওয়াল দখলের টক্কর চোখে পড়ার মতো। মিটিং, মিছিল, রোড শোয়ের বহরও চমকে দিচ্ছে।

গোটা অযোধ্যা পাহাড় জুড়ে এই রকমই স্লোগান চোখে পড়ছে|

দেওয়ালের লড়াইয়ে নজর কাড়ছেন কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতও। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তথা বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল গোটা জেলাতেই শ্রদ্ধার পাত্র। তিনি প্রার্থী হওয়ায় হইহই করে মাঠে নেমেছেন কংগ্রেস কর্মীরা এবং সে সংখ্যাটা নেহাৎ কম নয়। নেপালের খাসতালুক ঝালদা শহরে বসে ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বাহাদুর মাহাত তাই পাত্তাই দিচ্ছেন না কোনও প্রতিপক্ষকে। ‘‘তৃণমূলকে আর কেউ চায় না আমাদের জেলায়। ফরওয়ার্ড ব্লক যাঁকে প্রার্থী করেছে (বীরসিংহ মাহাত), তিনি বেশ কিছু বছর রাজনীতি থেকেই দূরে চলে গিয়েছিলেন। আর বিজেপির যিনি প্রার্থী, তিনি তো গত বিধানসভা নির্বাচনে এই বাঘমুন্ডি আসন থেকেই নেপালবাবুর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। জামানত বেঁচেছিল কি না একটু জিজ্ঞাসা করবেন,’’—তাচ্ছিল্য বাহাদুরের বয়ানে। কিন্তু ব্লক কংগ্রেসের অফিসে তাঁর কাছ থেকে এই কথা শুনে বেরনোর পরেই জ্যোতির্ময় মাহাতর সমর্থনে আয়োজিত যে বিরাট মিছিলে প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়তে দেখা গেল ঝালদার রাস্তাঘাট, সে মিছিলের সঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের কোনও মিল নেই।

পুরুলিয়া জেলার কয়েকটা ব্লক আবার বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে পড়ছে। তাই জেলার কিছু তৃণমূল নেতাকে বাঁকুড়াতেও দেখা যাচ্ছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রচারে। পুরুলিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে নারাজ তাঁরা। কিন্তু অবস্থাটা বুঝিয়ে দিতে আপত্তি নেই। তৃণমূল-বিজেপির টানাপড়েনের বাইরে যে একটা অদৃশ্য শক্তিও সক্রিয়, সে কথাটা না ভোলার পরামর্শ দিলেন। এই অদৃশ্য শক্তিই কি দেওয়াল লিখেছে অযোধ্যায়? এই অদৃশ্য শক্তিই কি পুরুলিয়া-২ ব্লকের জামটাঁড়ে ‘নেতা’ খুঁজে নিয়েছে নিজের মতো করে? সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে যান বাঁকুড়ায় বসে থাকা পুরুলিয়ার নেতা। বলেন, ‘‘মাওবাদীদের সংগঠনটা হয়তো আর নেই, কিন্তু লোকগুলো তো রয়েছে। সংগঠনে নেই, কিন্তু এলাকায় তো রয়েছে। যে লোকগুলো শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার তাগিদে এক সময়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিতে পেরেছিল, তাদের কি সাহসের ঘাটতি রয়েছে বলে আপনার মনে হয়? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা তো একটা হচ্ছেই। তাতেই আপাতত বিজেপি বাড়ছে।’’

বাড়বাড়ন্ত কার কতটা হল, স্পষ্ট হবে ২৩ মে। কিন্তু প্রকাশ্য লড়াইটার আবডালে আর একটা চেনা অথচ ধরা না দেওয়া স্রোতও যে খেলে যাচ্ছে, সে উপসর্গ স্পষ্ট পুরুলিয়ায়।

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement