নামঞ্জুর জয়ন্তের ইস্তফা, নতুন প্রার্থী বিজেপির?

এই পরিস্থিতিতে বিজেপি চাইছে আরও এক জন প্রার্থীকে দিয়েও মনোনয়ন জমা করতে। সেনাবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেনকে রাতারাতি দিল্লি থেকে বাগডোগরা আনা হয়েছে। স্থানীয় এক নেতার কথাও ভাবা হয়েছে। তাঁদের কোনও এক জন আজ মনোনয়ন জমা দেবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০৩:০২
Share:

আবির উড়িয়ে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায় শেষ পর্যন্ত দাঁড়াতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জয়ন্তবাবু সরকারি চিকিৎসক। সরকারি কর্মীকে লোকসভা, বিধানভায় প্রার্থী হতে গেলে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে হয়। কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক জয়ন্তবাবুও শনিবার তাঁর ইস্তফা জমা দেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেই ইস্তফা এখনও মঞ্জুর হয়নি। সাধারণ ভাবে সেই ইস্তফা মঞ্জুর হতে সময়ও লাগার কথা। কিন্তু বুধবার স্ক্রুটিনির সময়ই জয়ন্তবাবুকে ইস্তফা মঞ্জুর হওয়ার নথি জমা দিতে হবে। না হলে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে বিজেপি চাইছে আরও এক জন প্রার্থীকে দিয়েও মনোনয়ন জমা করতে। সেনাবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেনকে রাতারাতি দিল্লি থেকে বাগডোগরা আনা হয়েছে। স্থানীয় এক নেতার কথাও ভাবা হয়েছে। তাঁদের কোনও এক জন আজ মনোনয়ন জমা দেবেন।

প্রশাসনে সূত্রের খবর, প্রথমে জয়ন্তবাবুর ইস্তফা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে মঞ্জুর করতে হবে। তার পরে কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স দফতরে সেই নথি পৌঁছবে। ভিজিলেন্স দফতর ছাড়পত্র দিলে সেই কাগজ পৌঁছবে নবান্নে। তার পরে ইস্তফা মঞ্জুরির চূড়ান্ত নথি হাতে পাবেন জয়ন্ত রায়। এক সরকারি আধিকারিকের মন্তব্য, “সাধারণত এই প্রক্রিয়ায় মাসখানেক সময় লাগে। চটজলদি হলে ১৫ দিন লাগতে পারে। নবান্ন চাইলে আরও কম সময়েও হতে পারে।” তবে বিজেপির নেতারা কেন আগে থেকে প্রস্তুতি নেননি সেই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement