শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই এলাকায় রুট মার্চ শুরু করতেই তাঁদের ঘিরে ধরেন একদল গ্রামবাসী। প্রতীকী ছবি।
বোমার সুতলি হাতে নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তা দেখালেন সিউড়ি ২ ব্লকের চাতরা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। জানালেন নানা অভিযোগও।
শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই এলাকায় রুট মার্চ শুরু করতেই তাঁদের ঘিরে ধরেন একদল গ্রামবাসী। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কথা জওয়ানদের সামনে তুলে ধরেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়।
এলাকার বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী প্রচারে এলাকায় দলীয় পতাকা, ব্যানার লাগান তাঁরা। রাত ১১টা নাগাদ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গ্রামে বোমাবাজি করে। অভিযোগ, বিজেপির পতাকা, ব্যানার ছিড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পালায় দুষ্কৃতীরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে পতাকা টাঙানোর সময় প্রচণ্ড শব্দে বোমা ফাটতে থাকে। গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায়। ভয়ে সারা রাত ঘুমোতে পারেননি অনেকেই। তবে কারা বোমা মেরেছে জানি না।’’
পুলিশ গ্রামে পৌঁছনোর পরে বোমাবাজি থামে। শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ শুরু করতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তাদের ঘিরে ধরেন। রাতের বোমাবাজির কথা জওয়ানদের জানানো হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা বলেন, ‘‘আপনারা নির্ভয়ে থাকুন। নিশ্চিন্তে ভোট দিন।’’
স্থানীয় বিজেপি কর্মী সোমনাথ মাল অভিযোগ করে বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামের কয়েকটি জায়গায় বিজেপির ব্যানার, পতাকা লাগানো হয়েছিল। গভীর রাতে তৃণমূল আশ্রিত কয়েক জন দুষ্কৃতী গ্রামে বোমাবাজি করে। আমাদের দলীয় প্রচার-পতাকা খুলে দেয়।’’ তিনি জানান, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাতেই পুলিশ গ্রামে গিয়ে বোমার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ওই বোমাবাজির কথা জানানো হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘একেবারেই মিথ্যা কথা। পুজোর সময় পটকা ফাটলে যদি কেউ তাকে তৃণমূলের বোমাবাজি বলে দাবি করে, তা হলে কিছু বলার নেই। আমরা চাই পুলিশ এর তদন্ত করুক।’’
এ দিন সিউড়ি থানা এলাকার জানুরি, কোমা, চাতরা, পুরন্দরপুর-সহ একাধিক জায়গায় টহল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কথা বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও।