‘নকুলদানা’ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে মনে করেন অনুব্রত মণ্ডল।
নকুলদানা বিতর্কে অনুব্রত মণ্ডলকে সতর্ক করে এ বার সরাসরি তৃণমূলকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলের সমর্থকদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও ‘নকুলদানা খাওয়ানো হবে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
অনুব্রতর এমন মন্তব্যে, কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর।
এ বিষয়ে শোকজ করা হয় অনুব্রতকে। তাঁর জবাব পেয়ে তাঁকে সতর্ক করে কমিশন। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে যাতে অনুব্রত কোনও মন্তব্য করার আগে আরও সতর্ক হন, তা জানিয়ে তৃণমূলকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কমিশনের একটি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘সেট’ আর ‘স্যাট’-এর পার্থক্য বোঝার বুদ্ধিও নেই, রাহুলের থিয়েটার কটাক্ষের জবাব মোদীর
তবে, ‘নকুলদানা’ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে মনে করেন অনুব্রত মণ্ডল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “নকুলদানা সম্পর্কে আমি যা বলেছি, তার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নকুলদানা আসলে প্রসাদে লাগে। তিরুপতি, অজমেঢ় শরিফ, পাথর চাপুড়ি, বৈষ্ণোদেবী, বিশ্বনাথ, তারাপীঠ— সব মন্দিরেই প্রসাদে নকুলদানা থাকে। এ বার থেকে নকুলদানা সম্পর্কে যখন বলব, তখন যাতে ভুল ব্যাখ্যা যাতে না হয়, খেয়াল রাখব। প্রসাদের নকুলদানার কথাই যে বলছি, সেটা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলব।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
যদিও নকুলদানার নাম করে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে বিরোধীদের দাবি। এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় বীরভূমের জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে। এরই মধ্যে কমিশনকেও নকুলদানা খাওয়ানো হবে বলে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেন অনুব্রত। এর পরেই তাঁকে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন। যদিও কমিশন সূত্র খবর, অনুব্রতের জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আধিকারিকরা। তাই অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়ে তৃণমূলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পডু়ন: মাসুদ আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করতে রাষ্ট্রপুঞ্জে নয়া পদক্ষেপ আমেরিকার