আগামী ১৯ মে দার্জিলিঙে বিধানসভা উপনির্বাচন। সেখানে প্রার্থী হচ্ছেন বিনয় তামাং। কিন্তু কোন দলের প্রার্থী তিনি? কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ এ দিন জানিয়ে দিল, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রার্থী হিসেবে কেউই লড়তে পারবেন না। না বিনয় তামাং, না বিমল গুরুংপন্থী কোনও প্রার্থী। তাঁদের সকলকেই লড়তে হবে নির্দল প্রার্থী হিসেবে। যে ‘পাহাড়ের পিছনে সূর্য’ প্রতীক নিয়ে এত দিন মোর্চা ভোটে লড়ত, তা-ও তাঁদের কারও ভাগ্যে জুটছে না। আদালতের নির্দেশ, সম্পূর্ণ অন্য প্রতীকে লড়তে হবে তাঁদের।
মোর্চা স্বীকৃত দল হলেও নথিবদ্ধ নয়। তাই তাদের নির্দিষ্ট কোনও প্রতীক ছিল না। তবে প্রার্থী ‘পাহাড়ের পিছনে সূর্য’ প্রতীক নিয়ে লড়াই করতেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার হয়েই। সম্প্রতি বিনয়পন্থী নেতা অনীত থাপা কলকাতা হাইকোর্টে প্রকৃত দাবিদার হিসেবে স্বীকৃতি চেয়ে মামলা করে। সিঙ্গল বেঞ্চ সেই ফয়সালা করার দায়িত্ব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের উপরেই। এ দিন, বুধবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানিটি হয়েছে নির্বাচন কমিশনের আবেদনের ভিত্তিতেই হয়েছে।
এ দিন রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী ১৯ মে উপনির্বাচন। ২৯ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। দু’পক্ষই নির্দল হিসেবে লড়ুক। নিজেদের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কোনও একটি গোষ্ঠীর সমর্থিত বলে পরিচয় দিক।” কয়েক ঘণ্টার
শুনানির পর বিচারপতির সিদ্ধান্ত শুনে দু’পক্ষই বাইরে গিয়ে আলাপ-আলোচনা করে। পরে তারা এসে বিচারপতিদের জানায়, এই সিদ্ধান্তে তারা রাজি। বিনয় তামাংদের হয়ে সওয়াল করতে কলকাতা থেকে একাধিক আইনজীবী এসেছিলেন। সেই দলে আরও ছিলেন সার্কিট বেঞ্চের সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মামলাটি এখানেই শেষ হয়ে গেল না। বিধানসভা উপনির্বাচনে শুধু নির্দল হিসেবে লড়তে হবে। কারা আসল দাবিদার, তা নিয়ে মামলা চলবে।’’ গুরুংদের পক্ষে সওয়াল করা আইনজীবী আনন্দ ভান্ডারী এবং উর্গেন লামা বলেন, “আমরা সন্তুষ্ট।”
মজার বিষয় হল, বিনয় তামাংকে এ বারে বিনয়পন্থী মোর্চা সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়তে হবে।