জখম মহম্মদ আব্দুল। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা নির্বাচনের দিন বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। শুক্রবার নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষেও তেতে উঠল এই এলাকা। গুলিবিদ্ধ হল মহম্মদ আব্দুল নামে এক কিশোর। তার বাঁ পায়ে গুলি লেগেছে। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
বিজেপি এবং তৃণমূল দুই পক্ষেরই দাবি, আব্দুলের বাবা সাহিরুল হক তাদের সক্রিয় কর্মী। জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘তৃণমূল, বিজেপি দু’পক্ষই দাবি করেছে, আহত কিশোরের পরিবার তাদের সমর্থক। বিজেপির দাবি তৃণমূল গুলি ছুড়েছে। তৃণমূলের দাবি বিজেপি আক্রমণ করেছে। আমরা সবই খতিয়ে দেখছি।’’
সাহিরুলের একটি ছোট চা বাগান রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এ দিন সকালে চোপড়ার মুগডুমি এলাকায় সাইকেলে করে সেই বাগানে যাচ্ছিলেন সাহিরুল। সেই সময়ই তাঁর দিকে গুলি ছোড়া হয় বলে দাবি। সাহিরুল সরে যান। তখন গুলি গিয়ে লাগে তাঁর ছেলে আব্দুলের পায়ে। তাকে প্রথমে দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজে।
জেলা বিজেপির সম্পাদক সুবোধ সরকার বলেন, ‘‘এলাকাতে সন্ত্রাস করে ভোট করেছিল তৃণমূল। প্রতিবাদ করায় এ দিন আমাদের কর্মীদের উপরে ওই হামলা হয়। গুলিতে তাঁর ছেলে আহত হয়েছে।’’ চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের পাল্টা দাবি, ‘‘আমাদের কর্মীদের উপর আমরা গুলি চালাতে যাব কেন? ওরা গাছে চড়ে আমাদের কর্মীদের উপর গুলি করেছে। পুলিশকে বলেছি বিষয়টি দেখার জন্য।’’ হামিদুল রহমানের দাবি, বিজেপির কিছু লোকজন এলাকায় গোলমাল করছে। গত কালও বেশ কিছু বুথে গোলমাল করেছে তারা। হামিদুলের বক্তব্য, ‘‘পুলিশকে কিছু নাম দিয়েছি। তবে পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না জানি না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এই ঘটনার পরে ভোটের সময়ও জেলায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার প্রশাসন রোধ করতে পারেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সব দলই। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল জানান, সব কিছুই খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভোটের দিন ইসলামপুরের আগডিটমিট-খুন্তির পাটাগড়া বালিকা বিদ্যালয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন সাংবাদিক মেহেদি হেদায়েতুল্লা। তিনি ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকরা শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ডান দিকের বুকের পাঁজরে চোট গুরুতর।