Cash for Query Mahua Moitra

‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলা: ৪ সপ্তাহে মহুয়ার বিরুদ্ধে কোর্টে চার্জশিট জমা দেবে সিবিআই, অনুমতি দিয়ে দিল লোকপাল

গত বছর লোকপালের নির্দেশের পর মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। মহুয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৩
Share:

কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

সংসদে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ করার মামলায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি দিল লোকপাল। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার প্রতিলিপি পাঠাতে হবে লোকপালের দফতরেও। গত ১২ নভেম্বর লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার তা লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকেও। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকপাল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, দাবি করেছিলেন নিশিকান্ত।

Advertisement

গত বছর লোকপালের নির্দেশের পর মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ছ’মাসের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় লোকপালের দফতরে। তদন্তে যা যা উঠে এসেছে, রিপোর্টে তা ব্যাখ্যা করে সিবিআই মহুয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য অনুমতি চেয়েছিল। গত বুধবার লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সিবিআইকে চার্জশিটের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। নির্দেশিকায় লোকপাল জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেই সিবিআইয়ের দ্বিতীয় আবেদনটি বিবেচনা করা হবে। তার আগে নয়। লোকপালের নির্দেশ অনুসারে, সিবিআই তদন্ত এবং মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি সম্পর্কে আগে আদালতকে অবহিত করতে হবে।

মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি সংসদে প্রশ্ন করেছেন। নিশানা করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই মহুয়া এই কাজ করেছেন। এই অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছিলেন নিশিকান্ত। এ ছাড়া, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাইও।

Advertisement

মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে নেমে ২৬ জন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলে সিবিআই। প্রমাণ হিসাবে সংগ্রহ করা হয় ৩৮টি নথি। রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, ঘুষ নিয়ে সংসদে মোট ৬১টি প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া। তার মধ্যে তিনটি প্রশ্ন করা হয়েছিল সামনাসামনি, অফলাইন মাধ্যমে। বাকি প্রশ্নগুলি অনলাইনে আপলোড করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ মিলেছে বলে রিপোর্টে দাবি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

হীরানন্দানি নিজেই হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন, মহুয়ার সংসদের লগ ইন আইডি জেনে তাতে প্রশ্ন পোস্ট করতেন তিনি। তবে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তিনি মানতে চাননি। এই ঘটনায় এথিক্স কমিটির সুপারিশ মেনে গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার লোকসভার সাংসদপদ খারিজ করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূল সাংসদ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি আবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement