সোশ্যাল সাইটে ছড়াল ইতিহাসের প্রশ্নপত্র। নিজস্ব চিত্র।
বাংলা ও ইংরেজির পর এ বার ইতিহাস। শুক্রবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ফের ছড়িয়ে পড়ল ইতিহাসের প্রশ্নপত্র। এ দিন পরীক্ষার শেষে দেখা গেল, যে প্রশ্ন পাচার হয়েছিল, তার সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে দেওয়া ইতিহাসের প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল রয়েছে।
পর পর তিন দিন প্রশ্ন পাচারের ঘটনা কেন আটকানো গেল না? তা হলে কি নজরদারির অভাব রয়েছে? এ সব প্রশ্নের উত্তর নেই মধ্যশিক্ষা পর্যদের কাছে। পরীক্ষা শুরুর আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল, এ বছর পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা তো বটেই, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, এমনকি শিক্ষাকর্মীদেরও মোবাইল ফোন রাখতে হবে পর্ষদের নিযুক্ত ভেনু ইন-চার্জের কাছে।
বাংলা, ইংরেজির প্রশ্নপত্র পাচার হওয়ার পর আসরে নেমেছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও সেই একই হাল। প্রশ্ন পাচার আটকানো গেল না।
আরও পড়ুন: ‘তোমরা সবাই কেমন আছো?’সন্ন্যাসীর কানে এখনও ভাসছে ছেলের কণ্ঠস্বর
সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এর পর পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় কেউ মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে তাঁকে আর বাকি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি, পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী বছরই অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাবলুর, কিন্তু তার আগেই সব শেষ
শুক্রবার ছিল ইতিহাস পরীক্ষা। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে এ দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়া নজর রাখা হয়েছিল। কিন্তু এর পরেও পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে কী ভাবে প্রশ্নপত্র পাচার হল? সে বিষয়ে পর্ষদের কাছে জবাব চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পর্ষদের দাবি, এটাকে প্রশ্ন ফাঁস বলা যাবে না। কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে মোবাইলে প্রশ্নের ছবি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও এ ভাবে প্রশ্ন পাচারের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।