Mamata Banerjee

মালদহের গাজোলে এ বার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

মালদহের গাজোলে স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নয়নের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘ওরা হিংসুটে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৫
Share:

সুস্থাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির ঘোষণাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

মালদহের গাজোলে এ বার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হবে। মঙ্গলবার মালদহ সফরে গিয়ে এমন ঘোষণাই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বটে। মালদহের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গাজোলে একটা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হবে, ঘোষণা করছি।’’ তিনি জানিয়েছেন, এই হাসপাতাল তৈরির ফলে মালদহ এবং দুই দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় তৃণমূল ভোটপ্রচারে নতুন অস্ত্র পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ জানতে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল। কর্মসূচির প্রথম দিন থেকেই বাসিন্দাদের নানা অভিযোগের মুখে পড়তে হচ্ছে ‘দিদির দূত’দের। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে ‘দিদির দূত’দের কাছে নানা দাবি জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। এই আবহে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মালদহের গাজোলে সরকারি হাসপাতালের ঘোষণা করলেন।

স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় জোর দিতে রাজ্যে ১৭ হাজার জায়গায় ‘সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র’ তৈরি করা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানান মমতা। পাশাপাশি মালদহ, বালুরঘাট, কোচবিহার এবং পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘ওরা হিংসুটে। জনকল্যাণমূলক কাজ করছে না।’’ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মালদহে ৭০ হাজার মানুষকে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আবার নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লির নেতারা নির্বাচনের সময় মিথ্যা কথা বলেন, অপপ্রচার করেন। টাকা তো রাজ্য থেকে তুলে দেওয়া হয়। আমার রাজ্যের টাকা আমি তুলতে পারি না। ইদানীং রাজনীতি বেশি করছেন। জনকল্যাণমূলক কাজ করছেন না।’’

Advertisement

রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার দল পাঠিয়ে অশ্বডিম্ব করছেন।’’ আবাস দুর্নীতি, ১০০ দিনের কাজ, মিড-ডে মিল নিয়ে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা এসেছেন। সে প্রসঙ্গে বিজেপি সরকারের কাছে মমতার প্রশ্ন, ‘‘উন্নাওয়ের ঘটনায় ক’টা দল যায়? গুজরাতে ক’টা যায়? বলতে গেলে মুখের ভাষা স্তব্ধ হয়ে যাবে।’’

রাজ্যে সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ বন্ধ করে দিয়েছে।’’ তিনি সব সময় মতুয়াদের পাশে রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘যত দিন বড়মা বেঁচেছিলেন, তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব আমি নিয়েছিলাম। কেউ তাকিয়েও দেখেনি।’’ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন