যশবন্ত সিনহা।— ফাইল চিত্র।
কলকাতায় তৃণমূলের মঞ্চে এসে সরাসরি মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি কার্যত উস্কে দিয়ে গেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। উত্তম মঞ্চে রবিবার তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘আইডিয়া অব বেঙ্গল’ শীর্ষক আলোচনায় ‘কালো টাকা এবং না রাখা প্রতিশ্রুতি’ বিষয়ে বক্তা ছিলেন বিজেপি-ত্যাগী এই নেতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের সরকারকে বদলাতে হবে। বিজেপি বিরোধী জোটে নেতৃত্ব দিতে পারবেন তিনিই, যিনি জোটের মধ্যে, সরকারে এবং মানুষের মধ্যে সমন্বয় গড়তে সক্ষম। শুধু রাজ্য থেকে কেন্দ্রে গেলে হবে না। যাঁর রাজ্য এবং কেন্দ্র—দুই জায়গাতেই সরকারে থাকার অভিজ্ঞতা আছে, তিনিই ওই জোটে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।’’ তাঁর ওই মন্তব্য শুনে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বলেন, ‘‘আপনি তো নাম না বলেও বুঝিয়ে দিলেন, কার কথা বলছেন!’’ হেসে সঞ্চালকের ওই বক্তব্যের সরাসরি জবাব এড়ান যশবন্ত।
মমতাকে কি তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান? অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সতর্ক জবাব, ‘‘তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব রকম যোগ্যতাই আছে। কিন্তু ওই জোটে বহু দল এবং নেতা আছেন। সকলে মিলে ঠিক করবেন।’’ নোট বাতিলের ঘোষণার পরেই কেন্দ্রের ওই পদক্ষেপকে ‘দানবিক’ বলে অভিহিত করেছিলেন মমতা। এ দিন ওই সভায় মমতার প্রশংসায় যশবন্ত আরও বলেন, ‘‘তখন অর্থনীতিবিদরাও বুঝতে পারছিলেন না, কী প্রতিক্রিয়া দেবেন। মমতাজি বুঝতে পেরেছিলেন, কী বলা উচিত। আমি ওঁর সাহসকে সেলাম জানাই! লোকসভা ভোটে যারাই তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে ডাকবে, তাদের
কাছেই তিনি যাবেন বলেও এ দিন সভার শেষে জানিয়েছেন যশবন্ত।
ওই সভায় এ দিন স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত আলোচনায় সরকারের সমালোচক চিকিৎসক সংগঠনের নেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘‘ইউনিভার্সাল হেল্থ কভারেজ ব্যবস্থা চালু করা দরকার। না হলে স্বাস্থ্য বিমার নামে বেসরকারি সংস্থাগুলো মানুষকে লুট করছে।’’ ওই সভায় বাংলার বহুত্ববাদ বিষয়ক চর্চায় অন্যতম বক্তা
ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি নাদিরা পাথেরা। সেখানে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে মত জানান সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।