Sonarpur Murder

সেপটিক ট্যাঙ্কে তিন বছর পড়ে সোনারপুরের গৃহবধূর দেহ! এত দিনে খুন, গুমের কথা স্বীকার করলেন স্বামী

সোনারপুরে এক মহিলা তিন বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করলেও মহিলাকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। সম্প্রতি হাই কোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ১২:৪১
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সোনারপুরে স্ত্রীকে খুন করে তিন বছর ধরে সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। অবশেষে সিআইডি-র গোয়েন্দাদের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। পুলিশ তাঁকে আগেই গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু খুনের প্রমাণ না মেলায় যুবক জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ভোম্বল মণ্ডল এবং তাঁর স্ত্রী টুম্পা মণ্ডল সোনারপুরের বাসিন্দা। টুম্পা ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে নিখোঁজ। কন্যার সন্ধান না পেয়ে সোনারপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তাঁর বাবা লক্ষ্মণ হালদার। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ মহিলার স্বামীকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু টুম্পাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি এই মামলাটি হাই কোর্টে ওঠে। আদালতের নির্দেশে গত ১৩ জুন তদন্তের ভার পায় সিআইডি। তারা ভোম্বলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। শুক্রবার গোয়েন্দাদের জেরার মুখে অবশেষে স্ত্রীকে খুনের কথা কবুল করে নিয়েছেন ভোম্বল। তিনি জানিয়েছেন, তিন বছর আগে ২০২০ সালেই স্ত্রী টুম্পাকে তিনি খুন করেছিলেন। তার পর দেহ লুকিয়ে ফেলেছিলেন তাঁদের সোনারপুরের ভাড়া বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে।

Advertisement

প্রমাণের অভাবে ভোম্বলকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সিআইডির কাছে খুনের কথা স্বীকার করে নেওয়ার পর তাঁর জামিন বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা যুক্ত করার আবেদনও জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। যুবকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট বাড়িতে গিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন সিআইডির গোয়েন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement